নবীনগরে প্রবাসে থাকা ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর দেয় পরিবারের লোকজন

নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের এক ওয়ার্ড সদস্য প্রবাসে থাকায় পরিবারের লোকজন তার স্বাক্ষর  দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর  তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১  নং ওয়ার্ড জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে নির্বাচিত ঐ সদস্যের নাম মোঃ আক্কাস মিয়া। সে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই  ইমারত নির্মাণের ঠিকাদারী ভিসায় সৌদি আরব চলে যায়,পরিষদের জরুরি প্রয়োজনে ৩/৪ মাস পরপর কয়েকদিনের জন্য দেশে আসে সে।এতে করে জন্মনিবন্ধন, ভিজিডি, ভিজিএফ, ওয়ারিশ সনদ থেকে শুরু করে পরিষদের সকল ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তার ওয়ার্ডবাসী। এসকল জটিলতার জন্য স্বাক্ষর নিতে গিয়ে তাকে না পেয়ে অনেকে তার পরিবারের লোকজন থেকে শুধু সীল মেরে  নিজেরাই তার স্বাক্ষর করে নিচ্ছে,এছাড়া বেশির ভাগ সময়ই তার স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন তার স্ত্রী,ছেলের বউ ও ছেলে রায়হান। সরকারি ত্রাণ সামগ্রিক বিতরণেও তার অনুপস্থিতিতে মনগড়া মত নিজেদের লোকজনের মধ্যে বিতরণ করছে তার ছেলে এমন অভিযোগও উঠেছে ।এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়া দিয়েছে।

এবিষয়ে জগন্নাথপুর গ্রামের সেন্টু মিয়া,মিজান মিয়া,আলমাসের বউ,বাছির ইসলাম সহ অনেকে জানান,ওয়ার্ড সদস্য আক্কাস মিয়া বিদেশ পাঠানোর কথা বলে অনেকের  টাকা মেরে  প্রবাসে চলে যাওয়ায়  তারা পরিষদের সকল ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া সহ স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের জন্মনিবন্ধন সনদ,বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে তার স্বাক্ষর নিতে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে।তার কাছের লোকেদের কাজগুলো তার স্ত্রী,ছেলে,ছেলের বউ স্বাক্ষর দিয়ে সেরে দিচ্ছে।

এবিষয়ে সরজমিনে গেলে ওয়ার্ড সদস্য আক্কাস মিয়া প্রবাসে থাকায় তার ছেলে রায়হান জানায়,ঘরে সীল রয়েছে তার বাবার পরিষদের সব কাজ তারাই করে।জরুরি হলে অনেকগুলো নিবন্ধনের কাজ জমা করে রাখে পরে তার বাবা প্রবাস থেকে আসলে তা করে দেয়। বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা মেরে দেয়ার কথা অস্বীকার করে সে।

ওয়ার্ড সদস্য প্রবাসে থাকার বিষয়ে সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন এর মুঠোফোনে একাধিক  বার ফোন করে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএস