নৌকাবাইচ দেখতে মধুমতির তীরে মেলা

মহম্মদপুর ( মাগুরা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ১০:০১ পিএম

মাগুরার মহম্মদপুরে ঐতিহ্যবাহী বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায দেখতে মধুমতি নদীর দুই তীরে মেলা বসেছে। মেলা শুরুর কয়েক দিন আগে থেকে বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসে মেলা এলাকায়

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মহম্মদপুরে শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন জাঙ্গালিয়া ও চর-জাঙ্গালিয়া মধুমতি নদীর দু’পাশে প্রতি বছরের ন্যায় এবার দশম বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার গোপালনগর বালুরচর থেকে মহম্মদপুর থানা ঘাট সীমানা পর্যন্ত মধুমতি নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (০৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে দর্শকদের উপস্থিতি দেখা যায়। নদীর দু’তীরে দাঁড়িয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন অনেক নারী পুরুষসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। এ উপলক্ষে আয়োজিত নৌকাবাইচ  প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী  বীরেন শিকদার।

শনিবার দুপুরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা পুলিশ সুপার মো. মশিউদ্দৌলা রেজা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. আবু আব্দুল্লাহেল কাফী, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বাসুদেব কুমার মালো, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা  কামাল সিদ্দিকী লিটন, থানা অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক বোরহান উল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান মিলন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস মোছা. বেবী নাজনীনসহ প্রশাসন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,  রাজনৈতিক, সামাজিক, নানা শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। দোকানপাট ও হরেক রকম পণ্যের পসরা বসেছিল। বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ মেলা উপলক্ষে  সাজানো হয়েছিল অসংখ্য তরুণও ফেস্টুন দিয়ে।

এ আকর্ষণীয় নৌকাবাইচ মেলা দেখতে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গাসহ দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ নদীর দুপাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করতে দেখা যায়।

নৌকার দাঁড়িয়াদের দাঁড় নিক্ষেপ ও কাঁসার ঘণ্টার টং টং টং শব্দ নৌকাবাইচ দেখতে এক অন্যরকম আনন্দময় পরিবেশে সৃষ্টি হয়। নারীদের নৌকায় সারি গান দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে।

এছাড়া মেলায় বিনোদনের জন্য চরকি, ট্রেন, নাগরদোলা, নৌকা মেলাস্থলে স্থান পেয়েছে। গ্রামীণ জনপদের  উৎসুক মানুষ নৌকাবাইচ দেখতে মেলায় আনন্দ উল্লাস করেন। বিভিন্ন খেলনা স্টল, মিষ্টি সামগ্রী, দোকান বসে।

দু গ্রুপে মোট ২৪টি নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে কালায় গ্রুপে ১৩টি ও সাজের ১১টি। নৌকাবাইচে প্রথম হয়েছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর রেজাউল শেখ, দ্বিতীয় হয়েছেন মোকসেদপুরের দিলীপ, তৃতীয় হয়েছেন মাদারীপুরের অমল সরকার।

এআরএস