সেতু আছে ‘সংযোগ’ সড়ক নেই, দেখারও কেউ নেই

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ডেফলা ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসাছে না সেতুটি। ব্রিজটি নির্মাণের এক বছরের মাথায় সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ইউনিয়নে ৫ গ্রামের মানুষকে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে পাঁচ গ্রামের প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার মানুষ চলাচল করে। গত চার বছর ধরে সেতুটি এভাবে সংযোগ সড়কবিহীন পড়ে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই।

জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের অর্থায়নে ২৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯শত ৪৫ টাকা ব্যয়ে ডেফলা ব্রিজের উত্তর পাশে ব্রহ্মপুত্র নদীর ধারে সেতুটি নির্মিত হয়। এরপর সেতুটির এক পাশের মাটি সরে যাওয়ায় চার বছর ধরে অচলাবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

স্থানীয়দের দাবি ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে কর্মকর্তাদের গাফলতিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তা না হলে এই পাড়ে ছোট সেতুটি কেন নির্মাণ করলো। এই রাস্তা দিয়ে  ইউনিয়নের আমডাংগা, গোবিন্দী, পূর্ব শ্যামপুর, পশ্চিম শ্যামপুর, প্রতাবঝগড়ী এই পাঁচ গ্রামের প্রায় ৮-৯ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।

গোবিন্দী গ্রামের সোনাহার মন্ডল নামে একজন বলেন, এক দেড় বছর এই ব্রীজ দিয়ে মানুষ চলাচল করেছে। কয়েক বছর আগের ভারি বন্যায় ব্রিজটি ধসে গেছে। এখন কোনো কাজেই আসছে না ব্রিজটা।

স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দী গ্রামের জামসেদ হোসেন জানান, সেতুটি কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই নির্মাণ করা হয়। এটা নিছক সরকারি অর্থ অপচয় করা ছাড়া আর কিছু নয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে সেতুটি নির্মাণ এটা সত্যিই হাস্যকর। সরকারে টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।

শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম. সায়েদুর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি মহোদয়কে এবিষয়ে বলা হয়েছে। যেহেতু এটা নদীর ধারে তাই এখানে পাইলিং করা প্রয়োজন। এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে পাইলিং নির্মাণ করা হবে।

মেলান্দহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আব্দুর রাজ্জাক এবিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এবিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সেলিম মিঞা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআরএস