গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের আড়ালে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে রিপন হোসেন নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম।
রিপন হোসেন কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইছুটি গ্রামের সুরুজ আল মামুনের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
পুলিশ কমিশনার বলেন, সফিপুর এলাকায় লিডা ও ফর্টিস কারখানায় লাঠিসোটা নিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রিপনকে শনাক্ত করা হয়। ঘটনার পর রিপন এলাকা থেকে পালিয়ে যান ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
রিপন ৩০ অক্টোবর কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন কারখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরও চারটি মামলা রয়েছে। দলীয় আন্দোলনকে প্রভাবিত করার জন্য তিনি ও তার সহযোগীরা শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারখানায় আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন।
প্রেস বিফ্রিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জিয়াউ উল হক, অহমার উজ্জামান, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিউল আলম, ডিসি মিডিয়া মো. ইব্রাহিম খান।
অপরদিকে বিএনপি–জামায়তের অবরোধের শেষ দিনে মহাসড়কে যাত্রীবাহীবাস পোড়ানোর মামলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামছুজ্জামান শিপলু বকসী (৪৮), গাজীপুর মহানগরের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক রাহাত হাসান (১৯), বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম, বাবুু ও খোকন সরকার নামে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকবর আলী খান নিশ্চিত করেছেন।
এআরএস