আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় আসছেন আগামী ১৩ নভেম্বর। ওই দিন দুপুর ২টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
এবারের জনসভা মঞ্চ তৈরি হবে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে। চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট চওড়া মঞ্চের ওপরে পদ্মা সেতুর অবয়ব থাকবে। সেতুর ওপরে বোন শেখ রেহানাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাঁড়িয়ে থাকার একটি ছবি রাখা হবে। আর পদ্মা সেতুর একটি কম্পার্টমেন্ট তৈরি করে সেটিকে নৌকার আকৃতি দেওয়া হবে। এর নকশা ইতোমধ্যেই দলীয় নেতাকর্মীদের উচ্ছসিত করেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আরও সাত দিন আগে সার্কিট হাউজ মাঠে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সামনে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলছে মাঠ তৈরির প্রস্তুতি।
জনসভাস্থলে আগত নেতাকর্মীদের জন্য সার্কিট হাউজ মাঠে রাখা হয়েছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। সার্কিট হাউজের আশপাশের সড়কগুলোতে কার্পেটিং করা হচ্ছে। সার্কিট হাউজের চারপাশের ড্রেনের কাভারগুলো রঙ করা হচ্ছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতুর আদলে দলীয় প্রতীক নৌকার অবয়বে মঞ্চ তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। এবার মঞ্চটির দৈর্ঘ্য হবে ১২০ ফুট, আর প্রস্থ হবে ৪০ ফুট। পাশাপাশি ৪০০ মাইক স্থাপনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি জানান, মঞ্চ তৈরি, জনসভাস্থল ও জনসভার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসেছেন। ৮ নভেম্বর তারা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে খুলনা মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা ও কর্মীসভা করছে। খুলনা অঞ্চলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি নিজে উপস্থিত থেকে প্রস্তুতি তদারকি করছেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, সার্কিট হাউস থেকে কাস্টমস ঘাট, জেলখানা ঘাট, টুটপাড়া কবর স্থান ও পাওয়ার হাউস মোড় এলাকা পর্যন্ত মাইক লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে। এ জনসভা স্মরণকালের বৃহৎ ও সেরা জনসভায় রূপ দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।
এআরএস