বরগুনায় বুধবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমতলী-তালতলী সড়কের আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার সংলগ্ন উত্তর তারিকাটা সাকুরা পরিবহনের গাড়ী পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অঙ্গসংগঠনের ৬৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধে আমতলী উপজেলার সাকুরা পরিবহনসহ তিনটি স্থানে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা দমন করতে পুলিশ কঠোর হস্তে অভিযান চালায়। তাদের অভিযানে গত ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আন্দোলনে না এসে জঙ্গিদের মত সড়কে হামলা চালাচ্ছে। তাদের হামলার কঠোর ভাবে দমন করা হবে। তিনি আরো বলেন, যারা অগ্নি সন্ত্রাস করছে তারা দেশের প্রকাশ্য শত্রু। তারা দেশের মঙ্গল চায় না। মাঠে থেকেই তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সাকুরা পরিবহন গাড়ী পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অঙ্গসংগঠনের ৬৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতার সঙ্গে আরো জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যহত আছে।
তিনি আরো বলেন, সাকুরা পরিবহন গাড়ীতে আগুন দেয়া ছাড়াও নাশকতার সঙ্গে জড়িত ইতিমধ্যে বিএনপি ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এইচআর