পূবাইল মৎস্য আড়ৎগুলোতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৩, ০৬:৩৮ পিএম

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল বাজারে দেশীয় প্রজাতির মাছ ক্রয়ে নির্ধারিত মূল্যের প্রতি ১০০ টাকায় অতিরিক্ত ২০ টাকা খাজনা নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে আড়ৎ মালিকদের বিরুদ্ধে। এতে গরিব অসহায় ক্রেতাগণ মাছ ক্রয় করতে অক্ষম এবং তাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় অভিমত ভুক্তভোগীদের

প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত চলে এ মাছ  বাজার বিক্রির মহা উৎসব। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ লাখ নগদ টাকার লেনদেন হয় এই মৎস্য আড়ৎগুলোতে।

জানা যায়, ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী পূবাইল বাজারে মৎস্য আড়ৎদারদের নিয়ে মাছের এই ব্যবসা চলে। যেখানে আড়ৎ মালিকদের বৈধ কোন কাগজপত্র নাই নামে মাত্র কয়েকজন ট্রেড লাইসেন্স করলেও এতে নিয়মের কোন বালাই নাই, নিজস্ব ইচ্ছে মত চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মাছের ব্যবসা।

পূবাইল বাজার মৎস্য আড়ৎগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে আসা জেলেরা বল বাটি ভর্তি মাছ নিয়ে আড়ৎ মালিকদের সামনে সেখানে আড়ৎ মালিকরা মাছের সর্বোচ্চ দাম হাকে এতে উপস্থিত ক্রেতাগণ যে ১০ টাকা বেশি মূল্যে মাছ ডাকে সাড়া তাকে মাছ ভিট করা হয়। কিন্তু তার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত শতকরা আরো ২০ টাকা করে দিতে হয় আড়ৎ মালিকদের।

সততা মৎস্য আড়ৎ এর মালিক আবুল খায়ের ও বাড়িয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বাচ্চু ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে জেলেদেরকে বাৎসরিক দাদন দিয়ে থাকি। তাই আগত ক্রেতাদের নিকট হতে শতকরা ২০ টাকা করে অতিরিক্ত নেওয়া হয় এটা খুব বেশি না।

এছাড়াও চাচা ভাতিজা মৎস্য আড়ৎ, সিকে মৎস্য আড়ৎ, রিহাব মৎস্য আড়ৎ, শাহজালাল, ভাই ভাই মৎস্য আড়ৎ হেলাল উদ্দিন, সাইফুল, নিপুসহ একাধিক আড়ৎ মালিকরা এ ধরনের অতিরিক্ত খাজনা  আদায়ে লিপ্ত।

হারবাইদের মান্নান বলেন, আমি ডাকে ২০০ টাকা মূল্যে মাছ পেয়েছি। আমার নিকট থেকে আড়ৎদারগণ আরও অতিরিক্ত ৪০ টাকা বেশি নিয়েছেন।

পূবাইল বাজার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমি ১৫২০ টাকার মাছ ক্রয় করে আড়ৎ মালিক কে ১৯০০ টাকা দিতে হয়েছে।

স্থানীয় রুহুল আমিন ও আফজাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে আড়ৎদারগণ তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য ক্রেতা ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমরা প্রশাসনিকভাবে এর হস্তক্ষেপ কামনা করি।

পূবাইল বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক জানান, সাধারণ ক্রেতাদের নিকট থেকে শতকরা ২০ টাকা খাজনা নেওয়া যুক্তি সঙ্গত নয়, আমি সকলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।

স্থানীয় ৪১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন মোল্লা বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত আছি।  ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন। তারপরও স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে যাতে করে শতকরা ২০ টাকা সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে না নেওয়া হয় সে ব্যাপারে আমি সাধ্যমত ব্যবস্থা নিব।

এআরএস