চৌগাছায় ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক, দাম পেয়ে খুশি

এম এ মান্নান, চৌগাছা (যশোর) প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম

যশোরের চৌগাছায় ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। দাম বেশী পেয়ে বেজায় খুশি তারা। এ উপজেলায় বিকল্প ফসল হিসেবে এখন ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।উৎপাদন খরচ কম, দাম ভালো ও চাহিদা বেশি থাকায় ভুট্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাদের।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, কম খরচে স্বল্প সময়ে লাভ বেশি হওয়ায় চৌগাছার কৃষকেরা এখন ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন। গত বছর এ উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়।  চলতি বছর উপজেলায় ৭৭০ হেক্টর জমিতে পাইনোয়ার ৩৩.৫৫, কাবেরি ১০০ ও ব্র্যাকের যুবরাজ ও এলিট জাতের ভুট্টারআবাদ হয়েছে।

উপজেলার স্বরুপদহ ইউনিয়নের দেবালয় গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, কয়েক বছর ধরে লোকসানের কারণে সবজি, ধান ও পাট চাষে আগ্রহ হারায় চাষিরা। ধান চাষ কমলেও বেড়েছে ভুট্টা ও শরীষার চাষ। সে ক্ষেত্রে ভুট্টা চাষে ঝুঁকি কম। এ বছর আমার রয়েছে ৪ বিঘা ভুট্টা দারুণ হয়েছে। কয়েক দিন পরেই ফল আসবে। ফলন ও দাম দুটইভালো পাবো বলে আশা করছি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার ফুলসারা, নারায়নপুর, পাশাপোল, পেটভরা, গুয়াতলী, সুখপুকুরিয়া, চুটারহুদা, দেবালয়, মাধবপুর, হাকিমপুর, পাতিবিলা, জগদিশপুর, নিয়ামতপুর, চাঁদপাড়া,স্বরুপদাহ, খড়িঞ্চা, আন্দারকোটা, রামকৃষ্ণপুর, নগরবর্ণিসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এখন আগের চেয়ে ভুট্টার আবাদ বেশি হচ্ছে। চাহিদা থাকায় ভুট্টার দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা।

রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক লাবলুর রহমান বলেন, আগের বছর যে ভুট্টার দাম ছিল প্রতি মণ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, সেই ভুট্টা এ বছর কৃষকেরা ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন। সে জন্য যেসব জমিতে গত বছরও অন্য আবাদ হতো, সে সব জমিতে চলতি বছর মাঠের পর মাঠ দেখা যাচ্ছে ভুট্টার চাষ।

পেটভরা গ্রামের ভুট্টাচাষী  আব্দুল আলিম বলেন, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে এলিট জাতের ভুট্টার বীজ রোপণ করেছি। চারার অবস্থা বেশ ভালো। এ বছর প্রথম ভুট্টার চাষ করেছি। অন্য আবাদের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচও অনেক কম। ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হুসাইন বলেন, চলতি বছর এ উপজেলায় ৭৭০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। দাম বেশি হওয়াতে কৃষকরা ভট্টাচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে বীজ-সারসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আরএস