ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি‍‍`, কক্সবাজারে প্রস্তুত ৫৭৬ আশ্রয়কেন্দ্র

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৬:২২ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার জেলায় সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিসহ থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিনে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ৷

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমুহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর দেখানো হয়েছে৷

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

যার অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, জনগনকে সচেতন করতে এবং নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং চলছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারাও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় পুলিশকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে পুলিশ প্রস্তুত আছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবেলায় আমরা জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহন করেছি৷  জেলার নয়টি উপজেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের গোপনীয় ম্যাজিস্ট্রেট কে, এম, ইন্জারুল হক জানান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঘূর্ণিঝড়প্রবণ বিভিন্ন স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টগণ উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) নাসিম আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন, সদর উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মুহাম্মদ জাকারিয়া, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা

এইচআর