সুনামগঞ্জ মধ্যনগর বাজারে আজো দেখা মিলে কৃষকের কৃষি কাজের বাঁশ দিয়ে তৈরি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘মই’। যার গুরুত্ব প্রাচীনকালে ছিল। আজও চাহিদা রয়েছে তেমনি। শুধু কমেছে মই তৈরির কারিগর।
মধ্যনগর উপজেলা সদর হাটে সরেজমিনে দেখা মিলে কৃষিকাজের উপকরণ মই, লাঙ্গল, জোয়ালসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের সমারোহ জমেছে বেশ। এ অঞ্চলের অংশিক জমিতে রয়েছে বারোমাসী চাষাবাদ। এছাড়া বেশির ভাগ কৃষিজমিতে আশ্বিন মাসের শেষ দিকে হাল চাষাবাদ আরম্ভ হয়।
চাষের পরে গুড়ো মাটি বা কাদা মাটির সমতা আনতে কৃষকেরা মই ব্যাবহার করে থাকেন। এর পরপরই ধানের বীজতলা, সরিষা, আলো, বাদাম, ধানের চারা রোপণসহ সবরকম শস্য উৎপাদনের পূর্বে ‘মই’ ব্যবহার করা হয়।
প্রচীনকালে জমিতে চাষের পর হালের দুটি বলদের কাদে জোয়াল রেখে পাটের রশ্মিতে মই বেধে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেতো দেয়া হতো ‘মই’। ফসলিজমির সমতা বজায় রাখা হয় আজও সেই মই দিয়ে।
প্রায় দুই যুগের অধিক সময় ধরে মই তৈরি করেন কাঠমিস্ত্রি কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি গ্রামের আবুল হোসেন (৫০)। তিনি বলেন, বিগত পঁচিশ বছর আগে একটি মইয়ের দাম ছিল মাত্র ৫০টাকা। বর্তমানে চারশত টাকা বিক্রি করেন। তবে চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। চাহিদা কমলেও ‘মই’ কৃষি কাজে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখে। আমি দৈনিক ৪টি মই তৈরি করতে পারি। দিন মোটামুটি ভালই কাটছে দিন।
এআরএস