নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৪ বছরের বোন নুসরাত জাহানের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায় দুইবছর বয়সী ইসরাত জাহান।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের গাঁওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু ইসরাত জাহান ওই গ্রামের দিনমজুর আসাদুল ও সুমাইয়া খাতুন দম্পত্তির মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, আসাদুল ও সুমাইয়া খাতুন দম্পত্তির এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ইসরাত জাহান ছোট মেয়ে। খবর পেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে ২ বছরের শিশু ইসরাতের মৃত্যুতে গোটা গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ইসরাতের ৪ বছরের বোন নুসরাতের সঙ্গে বাড়িতেই খেলা করছিলো। খেলতে খেলতে সবার চোখের আড়াল হয়ে ইসরাত কখন বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় তা কেউ জানেনা।
এ সময় পুকুরের পাশের রাস্তা দিয়ে বাঁশবাড়ীয়া নতুন পাড়া গ্রামের আরিফুলের স্ত্রী হালিমা তার স্বামী সন্তান নিয়ে ওই গ্রেমে নানার বাড়িতে আসার সময় তার ছোট শিশু ইসরাত কে ভাসতে দেখে হালিমাকে জানায়। পরে হালিমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ইসরাত কে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশু ইসরাতের মা সুমাইয়া জানান, তিনি এদিন বেলা ১১ টার দিকে তার ছোট মেয়ে ইসরাতকে কোলে নিয়ে ওই পুকুরে হাঁস তাড়িয়ে দিতে যান। পরে বাড়িতে এসে মেজ মেয়ে নুসরাতের সাথে খেলা করতে দিয়ে সংসারের কাজে পাশের বাড়িতে যান। সেখান থেকে বাড়ীতে ফিরে নুসরাতকে ইসরাতের কথা জিজ্ঞেস করলে সে কিছুই বলতে পারেনা। এ সময় সুমাইয়া এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে হালিমার চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে তার ছোট মেয়ে ইসরাতকে পানিতে ভাসতে দেখেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইসরাতকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে হেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে থানার এসআই হেলাল কে সাথে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটির সুরাৎহাল শেষ করে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এআরএস