শিবচরে গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত

মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম

মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি শেষে পালানোর সময় গণপিটুনিতে এ পর্যন্ত ২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ২ ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। ডাকাতের হামলায় একজন আহত হয়েছে। এদিকে মৃত্যুর আগে ডাকাত হাসমত ক্যামেরার সামনে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। নিহত ডাকাত হাসমতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন মামলা ও নিহত মির্জনের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় ৫টি চুরি-ডাকাতির মামলা রয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাতে (সাড়ে ৩টা) জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর শম্ভুক এলাকায় সাবেক সচিব আ. হাকিমের ভাই আ. হালিমের বাড়িতে ৫ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে হানা দেয়।

এসময় বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দলটি পালিয়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী এলাকার ভ্যানচালক দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতরা ওই বাড়ির কিষান তুষার হাওলাদারকে জিম্মি করে দেলোয়ার হাওলাদারের ঘরে প্রবেশ করে।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেলোয়ারকে আহত করে লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে তুষার দৌড়ে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মির্জন খালাসী (৪২) ও হাসমত বেপারীকে (৪৩) আটক করে গলধোলাই দেয়।

খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের এসআই গোলজার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুরুতর আহতাবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জন খালাসীকে মৃত ঘোষণা করে।

দুপুরে মুমুর্ষ অবস্থায় হাসমতকে মাদারীপুর সদর হাসাপাতালে ভর্তি করলে তার মৃত্যু হয়। নিহত মির্জন খালাসী শিবচর উপজেলার সম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে। এদিকে সকালে সন্দেহজনক চলাফেরা করার সময় স্থানীয়রা  সাগর হাওলাদার (২৮) ও মোস্তফা কামালকে (৬৫) আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সহকারী পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন ও শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আহত দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, আমার শ্রমিক তুষার ভাই ডাক দিলে আমি দরজা খুলি। এসময় ডাকাতরা জোর করে ঢুকে আমাকে মারধর করে। ডাকাতি শেষে যাওয়ার সময় আমরা চিৎকার করলে গ্রামবাসি হামলা চালায়।

মৃত্যুর আগে অভিযুক্ত হাসমত বলেন, আমরা ৫জন গিয়েছিলাম। আমরা মূলত ইজিবাইক চুরি করি।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাইনুল ইসলাম বলেন, ভোররাতে দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, নিহত ডাকাত হাসমতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন মামলা ও নিহত মির্জনের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় ৫টি চুরি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এরা ডাকাতি করতে গেলে গণপটুনির শিকার হয়।

এআরএস