চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। দাম বেশি হওয়ায় ইলিশ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা শূন্য ইলিশবাজার, বেচা বিক্রি না হওয়ায় কিছু ইলিশ নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর এ সময়ে যা ইলিশ ছিল এবার সেটিও নেই। বিশেষ করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। গত ২-৩ বছর স্থানীয় ইলিশ কম আসছে ঘাটে। আর এবার দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশও ঘাটে আসছে না। যার কারণে চাঁদপুর ঘাটে ইলিশ শূন্য।
বড় স্টেশনে মাছ কিনতে আসা খোরশেদ আলম আক্ষেপ করে বলেন, এই মৌসুমে এখনও ইলিশ মাছ মুখে তুলতে পারিনি। বাজারে ইলিশের আকাশছোঁয়া দাম। বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে মাছ নেই। কিন্তু আমরা মনে হয় ইলিশের দাম বাড়ার ৭০ শতাংশ কারণ সিন্ডিকেট। বাকিটা হয়তো সরবরাহ কম হতে পারে।
মাছঘাটে আসা বুলবুল নামের এক ক্রেতা জানান, ইলিশের দাম বেশি হওয়ায় ৬ কেজির বদলে চার কেজি ইলিশ কিনেছি। এখন মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ কম। যা কিছু আছে তাও দাম বেশি।
চাঁদপুরের জেলে নেতা মালেক বেপারি বলেন, সাগরের ইলিশেই আড়ত ও খচুরা বাজার চলছে। ইলিশের ভরা মৌসুম চলে যাচ্ছে। কিন্তু পদ্মা-মেঘনায় রূপালি ইলিশের তেমন দেখা নেই। যা মিলছে, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম হওয়ায় দামও একটু বেশি।
ইলিশ ব্যবসায়ী জলিল লস্কর বলেন, ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষ হলেও বড় স্টেশন মাছঘাটে তেমন ইলিশ আসছে না। জেলেদের জালে ইলিশ কম উঠছে। জেলেরা চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ পেলে তারপর দাম কমতে পারে। বর্তামানে এক কেজি ইলিশ ১৪০০-১৫০০ টাকা, আর দুই কেজি ওজনের ইলিশ ২৫০০-২৬০০ টাকা। এছাড়া একেবারে ছোট আকারের ইলিশ ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার বলেন, এখন মাছঘাটে ৮০-১০০ মণ ইলিশ আসছে। অন্য বছর এ সময়ে ইলিশের সরবরাহ ছিল এক হাজার মণ। এখন আর সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা নেই। মাছ কম, চাহিদা বেশি তাই দামও বেশি।
এইচআর