শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম

হিমালয় পাদদেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে শীতের আগমন। সকালে সবুজ ঘাসের উপর শিশির বিন্দু বিন্দু ফোটা আর কুয়াশায় ঢাকা সোনালি ধানক্ষেত।

দিনে সূর্যের কিছুটা দাপট থাকলেও সন্ধ্যা হতেই তা হ্রাস পেতে শুরু করে। হালকা ঠান্ডা ও মৃদু কুয়াশায় বলে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর এ শীত নীবারণের জন্য অনেকে আগাম লেপ-তোষক, জাজিম তৈরি করতে শুরু করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদরের পৌর বাজারের সামনে, কাপড় মার্কেটে এনআর প্লাজার সামনে ও কালীবাড়ী বটতলায় জাজিম, লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কারিগররা।

কাপড় বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগর নুরজামাল জানান, এখন অগ্রহায়ণ মাস চলছে। শীতের শুরুতেই লেপ-তোষক তৈরির বেশ অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি পৌষ ও মাঘ মাসে এবার ব্যবসা ভালো হবে। গার্মেন্টস তুলা দিয়ে একটি লেপ তৈরি করতে প্রায় ১৫শ’ টাকা লাগে। আমরা প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি লেপ-তোষক তৈরি করছি। বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা ৪শ’ টাকা কেজি আর গার্মেন্টস তুলা বিক্রয় হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আগের মতো এখন তুলা ধুনাই করতে হয় না। মেশিনে তুলা ধুনাই করায় তৈরি করতে সময় কম লাগে।

সদরের হরিকেশ মুন্সিপাড়া থেকে আসা কাইয়ুম জানান, দিনে বেশ গরম কিন্তু রাতে কিছুটা ঠান্ডা লাগে তাই শীতের তীব্রতা বাড়ার আগে একটি লেপ তৈরির করতে দিলাম। এছাড়া একটি পুরাতন তোষকও ভেঙে তৈরি করলাম।

রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, নভেম্বর শেষ সপ্তাহে সাধারণত ১৬.০২ থেকে ১৭ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তবে ডিসেম্বর মাসে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে।

এআরএস