মারতে চাইলে আমার উপর ডাইরেক্ট গুলি করে মাইরেন। তবে কাপুরুষের মতো বোমা হামলা কইরেন না বলে জানান শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, আমার যাওয়ার সময় চলে এসেছে। আমাদের পরিবারের সকলে এ বয়সেই চলে গেছে। আল্লাহর ডাক কখন যেন এসে যায়। তাই সব সময় আল্লাহকে কাজের মাধ্যমে খুশি করতে চাই। তাই আমার কাজে কোন ভূল হলে মাফ করে দিবেন।
মৃত্যুর পর যেন মানুষ সূরা ফাতেহা পাঠ করে আমার জন্য দোয়া করে। আর বেশী কিছু আমার চাওয়া নাই। এটাই আপনাদের কাছে আমার চাওয়া।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
এসময় শামীম ওসমান নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভাবে হবে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না। আপনারা ভোট দিতে আসবেন আর যাবেন। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাকে রেহায় দেয়া হবে না। আমি যদি আমার নেতাকর্মীদের বলি তাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিএনপি ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাবে। এটা আমার দলের লোকজন করবে।
শামীম ওসমান বলেন, আমি নির্বাচনী ফিল্ড ওয়ার্কে নামলে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা চালানো হবে। আমি তাদেরকে বলি আপনারা কাপুরুষের মতো বোমা হামলা চালায়েন না। ২০০১ সালে আমার বিশ জন নেতাকর্মীকে মারা হয়েছে। তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে আসেন। অনেক অল্প বয়সী আমার বোনেরা বিধবা হয়েছে। মারতে চাইলে আমার উপর ডাইরেক্ট গুলি করে মাইরেন। তবে কাপুরুষের মতো বোমা হামলা কইরেন না।
ত্বকি হত্যা নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আপনারা তো রাস্তায় দাড়িয়ে শুধু গালি দিয়ে যাচ্ছেন। কোন সমস্যা নাই, দেন গালি। ওই সময় আমি দুবাই ছিলাম। তারপর ও আমাদের ইঙ্গিত করে গালি দেওয়া হচ্ছে। আমার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।
বিএনপিকে উক্তি করে বলেন, আমরা পাল্টা হামলা করতে পারতাম। কিন্তু নেএী বলেছে কোন প্রতিহিংসা নয়। শয়তান করেছে শয়তানের কাজ।
নিষিদ্ধ পল্লী নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, কাবা ঘরে গিয়ে শপথ করেছিলাম। নারায়ণগঞ্জের নিষিদ্ধ পল্লী অপসারণ করবো। আল্লাহর হুকুমে তা করতে পেরেছি। অনেক অল্প বয়সী মেয়েদের এখানে আনা হতো। যাদের গঠন ও হয়নি। তিনি বলেন সামনে নির্বাচন এই নির্বাচনে আমি জয়ী হই আর না হই নারায়ণগঞ্জকে একটি মাদক মুক্ত নগরী হিসেবে রুপান্তরিত করবো।
এইচআর