ঈশ্বরদীতে ইট ভাটায় দশ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ১২:১৯ পিএম

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা। তবে অধিকাংশ ভাটা অবস্থিত এক লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে। বর্ষাকালে এসব ইট ভাটা বন্ধ থাকলেও শীত মৌসুম আগেই শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। এসব ইটভাটাগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে প্রায় দশ হাজার পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরেছে অনেকেরই।

[270181]

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় ইট ভাটার কাজ। পুরুষ শ্রমিকরা কাক ডাকা ভোর থেকেই কাজ শুরু করলেও নারীরা আসেন সংসারের কাজকর্ম শেষে। দুপুরে খাওয়ার সময় ব্যতিরেকে কাজ চলে বিরতিহীনভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। নারী ও শিশুরা শুধু ইট কাটার কাজ করেন থাকেন। বিনিময়ে তারা দৈনিক মজুরী পান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। জ্বালানি সরবরাহ, ইট পোড়ানোসহ ভাটার অধিকাংশ কাজই করে থাকেন পুরুষ শ্রমিকরা। বিনিময়ে তাদের পরিশ্রমিক দেওয়া হয় দৈনিক ৮০০ থেকে একজার টাকা।

শ্রমিকরা জানান, কৃষি কাজে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরির তুলনায় ভাটায় সমপরিমাণ কাজ করে দৈনিক ১০০০ টাকা উপার্জন করে তাদের সংসার সচ্ছলতা ফিরেছে। তবে বর্ষা মৌসুমী ইট ভাটা বন্ধ থাকে। তখন ভাটা মালিকদের থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সংসার চালাতে হয় তাদের।

[270173]

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি রাজা প্রামানিক এবং সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয় জানান, অর্ধশত এসব ইটভাটা থেকে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ভ্যাট বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। তাছাড়া মালিক সমিতি পক্ষ থেকে প্রতিবছর স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে ইট সহ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। কন্যাদায়গ্রস্ত, দুর্যোগ কবলিতদের ও অসহায় পরিবারের পাশে সব সময় সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে থাকেন তারা।

এআরএস