বরিশালে শিক্ষিকার পদত্যাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ০৫:১০ পিএম

ধর্মীয় অনুভূতিসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকারের অভিযোগে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বরিশাল ইন্সটিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি (আইএইচটি) কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। আন্দোলনের মাধ্যমে আইএইচটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার সানজিদা শহীদের পদত্যাগ চাওয়া হয়।

জানা যায়, ক্যাম্পাসে বোরকা পরিধান করায় কয়েকজন ছাত্রীদের বাজে ধরনের কটুক্তি করে এবং যারা বোরকা পরিধান করে আসে তাদের চিহ্নিত করে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এক হিন্দু ছাত্রীর বাবা না (মৃত) থাকায় তাকে অশ্লীল শব্দোচ্চারণ করেন। তার আচরণের মাধ্যমে মানষিক রুগীর লক্ষ্মণ দেখা যায়। অভিভাবক আসলে তাদের লাগামহীন অপমান অপদস্ত করেন তিনি। ক্লাসে বসে গালগল্পে মেতে থাকেন। তা ছাড়াও অফিস সহায়কদের মাধ্যমে ক্লাসে চা বিস্কুট খান। পরিক্ষার হলে ব্যক্তিগত ল্যাপটপ ব্যবহার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, তিনি নতুন যোগদান পর থেকেই শিক্ষকদের অসম্মান করে কথাবার্তা বলেন। ইচ্ছামত চলেফেরা করেন। নিয়ম অনুযায়ী কলেজে উপস্থিতির মধ্যে না হয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে দেরিতে উপস্থিত হন তিনি। এটি সিসি টিভি ফুটেজ দেখলে বেরিয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় নিজের ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে অধ্যক্ষের কোনো কিছু সিদ্ধান্তের জন্য খেপাটে এই শিক্ষিকার দারস্থ হতে হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কঠোর জোরদার হলে এক পর্যায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরুখ আলম শান্তনু উপস্থিতি হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা চালায়।

পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল মারুফ এসে আন্দোলনের বিষয় সার্বিক পরিস্থিতি আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ ডাক্তার মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু সাক্ষরিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর (স্মারক নং-আই,এইচ,টি/বরি/২৩/৫৪৩, তারিখ: ০৫/১২/২০২৩ খ্রি.।)

সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার সানজিদা শহীদের প্রশাসনিক কারণে বদলির প্রসঙ্গে তুলে একটি আবেদন করা হলে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা যার যার অবস্থানে চলে যান।

এআরএস