সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের যাদুকাটায় নৌপথে ভারতীয় থান কাপড়, কসমেটিক্সসহ এক কোটি টাকার মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ। ওই অভিযানে ৩ চোরাকারবারিকেও আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে আলামতসহ জব্দ তালিকা শেষে আটককৃত তিন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার ও অপর এক শীর্ষ চোরাকারবারিকে পলাতক আসামি দেখিয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সকালে তিন চোরাকারবারি ও ট্রলারবোঝাই ভারতীয় থান কাপড় এবং কসমেটিক্সের চালানটি উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার নৌপথ থেকে আটক করে পুলিশ।
মামলায় আটককৃত আসামিরা হলেন- উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম ঢালারপাড়ের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ফারুক আহমেদ, লাউড়েরগড় সীমান্ত গ্রামের মিরাস উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান, একই গ্রামের মৃত নুর সোবাহের ছেলে মিরাস উদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাতে সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মো. নাসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা ও আটককৃত চোরাকারবারিদের দেওয়া তথ্যের সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তের ওপার থেকে একদল চোরাকারবারি ঢাকায় পৌঁছে দিতে প্রথম ধাপে ১ কোটি টাকার ভারতীয় থান কাপড় ও কসমেটিক্সের চালানটি নিয়ে আসে। পরে তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নাজমুল ইসলাম, এএসআই মো. নাজিম উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে চোরাচালানের ওই চালানটি আটক করা হয়।
এরপর ৩০৭ থান বিভিন্ন ব্রান্ডের ভারতীয় থান কাপড়, স্ক্রিন সানরাইজ ক্রিম ২২ কার্টন, ভেসলিন ৩২ কার্টন, জনসন বেবি শ্যাম্পু ১৬ কার্টন, জনসন বেবি সাবান ১৮ কার্টন, হাবিব প্রিমিয়াম শার্ট পিস ৪ কার্টন, সিমসহ ২টি মোবাইল ফোনসেট, একটি কাটবাডি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারসহ প্রায় এক কোটি এক লাখ ৭৩ হাজার ৭৬০ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্ জানান, সীমান্তে মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালানের পণ্য ও চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ ধরনের পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এআরএস