টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চার মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু’র ট্রাক প্রতীককে সমর্থন জানিয়েছেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৯ জন। এরমধ্যে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগের কার্যকরী সদস্য মেজর (অব.) খন্দকার আব্দুল হাফিজ, কার্যকরী সদস্য রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানিসহ চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মন্টুকে সমর্থন জানান। এদের মধ্যে সানি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর আবেদনপত্রে যুক্ত করায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে আপিল করে তার প্রার্থীরা ফিরে পান। শেষমেষ রবিবার তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
[270989]
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মির্জাপুর পৌরসদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মোবারক হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু।
এছাড়াও মন্টুকে সমর্থন জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, পৌর মেয়র সালমা আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। প্রতীক পাওয়ার পর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন শেষে মাঠে নেমে আসে হাজার হাজার জনতা। মিছিলে-স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
[270977]
উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল-৭ সংসদীয় আসনে ৮জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ কায়ছারুল ইসলাম। প্রতীক বরাদ্দকৃতরা হলেন, খান আহমেদ শুভ (নৌকা), মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক), জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার (হাতুড়ি), মনজুর রহমান মজনু (মশাল), আরমান হোসেন তাপস (গামছা), রুপা রায় চৌধুরী (ডাব), মোক্তার হোসেন (গোলাপ ফুল)। রবিবার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সানি ও ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
এআরএস