ফেনীতে নৌকার সমর্থনে শহরের রামপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচার মিছিলে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এতে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ভূঞা রাজন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে স্থানীয় পৌর আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্বাচনী মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি রামপুর সওদাগর বাড়ির সামনে এলে অতর্কিত হামলায় চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় বিএনপির লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
[271024]
তবে, এ অভিযোগের ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, বিকেলের দিকে রামপুরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল থেকে স্থানীয়দের গালাগালি করতে থাকে। তখন এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। এখানে বিএনপি বা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়িয়ে এধরনের মিথ্যাচার একদম অযৌক্তিক। এটি রাজনৈতিক কোন বিষয় নয়।
হামলার ব্যাপারে ইমরান নামে মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক সমর্থক জানান, নৌকার সমর্থনে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। মিছিলটি পাটোয়ারী বাড়ি এলাকা থেকে সওদাগর বাড়ির সামনে পৌঁছলে অতর্কিত ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হয়। এসময় ঘটনাস্থলে অনেকেই আহত হয়।
[271025]
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুইজন সেখানে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন। তারা হচ্ছেন, স্থানীয় ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোলাপ নবীর ছেলে কাউসার আহমেদ অপু (১৭) ও ফুলগাজী উপজেলার উত্তর বরইয়া গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে রাব্বি হাসান (১৮)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত অপু জানান, আমরা মিছিল নিয়ে সামনে অগ্রসর হলে হুট করে বিকট শব্দ শোনা যায়। এতে আমিসহ অনেকেই দিক বেদিক ছোটাছুটি শুরু করি। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম, সেখানেও আমাদের উপর হামলার চালানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি উল্লেখ করে বলেন,অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
একই কথা বলেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান। তিনি জানান, ঘটনার ব্যাপারে শুনেছি। তবে এ নিয়ে কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআরএস