মাদারীপুরের কালকিনিতে নোটিশ দিতে গিয়ে এক বিবাদীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কালকিনি উপজেলার ফাসিয়াতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত হেমায়েত মোল্লা কালকিনি থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই)। আহত রাসেল সরদার ফাসিয়াতলা এলাকার সিরাজ সরদারের ছেলে।
জানা যায়, ফাসিয়াতলা এলাকার সিরাজ সরদারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে একই এলাকার লোকমান সরদারের। এ নিয়ে লোকমান সরদার ১৯ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাসিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আদালত বিরোধপূর্ণ জমিতে সবধরনের কাজ করা থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ প্রদান করেন এবং বাদী ও বিবাদীতে ২০২৪ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এই নোটিশ নিয়ে বিবাদীর কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পোশাকে ফাসিয়াতলা যান থানার এএসআই হিমায়েত মোল্লা ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।
পরে বিবাদী সিরাজের ছেলে রাসেল সরদার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে এএসআই হিয়ামেত মোল্লা রাসেলকে ব্যাপক মারধর করেন। এতে বিবাদীর ছেলে রাসেল সরদার আহত হন। পরে মারধরের ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাথে থাকা অপর পুলিশ সদস্যও রাসেলকে পুনরায় মারধর করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
আহত রাসেল সরদার বলেন, লোকমান সরদার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানী করেই যাচ্ছে। তার এক ছেলে সুমন সরদার পুলিশের সদস্য। সেই প্রভাবেই থানা পুলিশ দিয়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে। সাদা পোশাকে থাকা দুই পুলিশ নোটিশ দেয়ার নামে যেভাবে মারধর করেছে এটা মেনে নিতে পারছি না।
এই হামলার বিচার চাই। লোকমান সরদার বলেন, আমার ছেলে দুরে পুলিশের চাকরী করে। আমরা কেউ তাকে কখনই হুমকি দিচ্ছি না। ১৪৪ ধারার নোটিশ থানা পুলিশ দিতে এসেছি, আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি। আর পুলিশের সাথে রাসেল বা তার পরিবারের কি সমস্যা হয়েছে, সেটাও জানি না। সেটা পুলিশ এবং রাসেলের পরিবারের ব্যাপার।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই হিমায়েত মোল্লা বলেন, কেউ কি নোটিশ দিতে গেলে বাদী বা বিবাদীকে মারধর করে। এটা বিবাদী মিথ্যে কথা বলছে। আমরা কাউকে মারধর করিনি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, যাকে মারধর করছে সে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর কোন ভিডিও থাকলে সেটা দেখে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই্চআর