পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া লাভলু মিয়া (৩৫) নামে এক রিক্সা গ্যারেজ মালিকের একটি ষাড় গরু প্রকাশ্যে দিবালোকে চুরি করে মাংস লুটের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে থানা পাড়া মারুফ নামে এক ব্যক্তি। মারুফ মঠবাড়িয়া থানা ঘেষা বাসিন্দা মৃত. মন্নান হাওলাদারের ছেলে ও কাকছিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভকেশনাল শাখার শিক্ষক। গরু চুরি ও মাংস লুটের ঘটনায় পৌর শহরের সবুজ নগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ভুক্তভোগি লাভলু বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপর দুই আসামি হলো- মারুফের স্ত্রী রেহানা পারভীন ওরফে থানা পাড়া সোনিয়া ও সবুজ নগর গ্রামের মৃত. ধলু হাওলাদারের ছেলে কসাই শহিদ।
রিক্সা গ্যারেজ মালিক লাভলু জানান, তার ৮০ হাজার টাকা মূল্যের পালিত অষ্ট্রেলিয়ান বাছুরটি (ষাড়) প্রতিদিনের ন্যায় গত ১ জানুয়ারি সোমবার সকালে শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে বেধে রাখেন। বিকেলে মাঠের মধ্যে গরুটি দেখতে না পেয়ে নিখোঁজ হিসেবে মাইকিং শুরু করে। ২ জানুয়ারি মঙ্গলবারও মাইকিং চলাকালনি সময় বর্ণনা অনুযায়ী জনৈক ইউনুস জানান, থানাপাড়া মারুফের বাসায় সে রকম একটি ঘরু প্রবেশ করাতে দেখেছেন। তিনি (লাভলু) বাসার সামনে গিয়ে মারুফের স্ত্রী সনিয়ার কাছে জানতে চাইলে সনিয়া কিছুই জানেনা বলেন। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলে ভবনের ছাদে মাংস-হাড্ডি কাটার শব্দ শুনে দৌড়ে ছাদে গিয়ে তার গরু সনাক্ত করেন। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৫ কেজি মাংস জব্দ ও মারুফকে আটক করেন।
অভিযোগ রয়েছে থানা ঘেষা মারুফের বাড়ি হওয়ার সুবাদে মারুফ ও তার স্ত্রী ভবনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে থাকে। কয়েক বছর আগে নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা করার অভিযোগে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সনিয়াকে আটক করে। বর্তমানে ওই বাসায় নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মারুফকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এআরএস