নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা, নির্বাচনি অফিস ভাংচুর, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, দায়িত্ব পালনে চরজব্বর থানার ওসির পক্ষপাতিত্ব ও নৌকার প্রার্থীর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের রশিদ কলোণী এলাকার চেয়ারম্যান পার্কের নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন বক্তব্য তুলে ধরেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আমরা ও আমাদের নেতাকর্মীরা ঠিকমত নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা করতে পারছে না। বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে। নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আমার সংবাদ সংগ্রহ করায় সংবাদ কর্মীদেরও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আর কয়েকদিন বাকি। এখন নৌকা প্রতীকের লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে যেতে মানুষকে নিষেধ করছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা ভীত সন্ত্রস্ত। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত।
[271835]
শাহিন বলেন, নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম থেকে সুবর্ণচরে বেশ কয়েকটি ঘটনায় চরজব্বর থানায় অভিযোগ দিয়েও আমরা কোন প্রতিকার পায়নি। আমাদের জানামতে ওই থানার ওসি রফিকুল ইসলাম নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর আজ্ঞাবহ। তাঁর কাছে কোন ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায়না। তাই ওসি রফিকুল ইসলামকে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে নির্বাচনি এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকানোর দাবিও জানান এই প্রার্থী।
এসময় জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের জেষ্ঠ্য পুত্র গোলাম মহি উদ্দিন লাতু, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের কনিষ্ঠ পুত্র বাহার উদ্দিন খেলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুজ জাহের, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছেরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এআরএস