বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

পার্বত্যবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও যথাযথ মর্যাদায় গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শনিবার (১৩জানুয়ারি) দুপুরের দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে নবনিযুক্ত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বিগত ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পার্বত্যবাসীর ভোটের ম্যান্ডেট নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১১ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সাথে সম্প্রীতির বন্ধনে সকলের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়েছেন বিজয়ী সংসদ সদস্য পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি আগামি পাঁচ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সাংবাদিকদের একান্ত সাক্ষাৎকার প্রদান করেছেন।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পার্বত্যবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দের সুব্যবস্থা করার লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নিবাচিত হওয়ায় আমি তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাঁর কাছে আমি খাগড়াছড়ির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃাতৃস্নেহে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীকে ভালোবাসেন এবং পার্বত্যবাসীর ভাগ্যোন্নয়নের জন্য তিনি খুবই আন্তরিক। যে কারণে বারবার পার্বত্যবাসীর দুর্যোগ, বিপর্যয়ে বা এলাকাবাসীর মধ্যে যদি কোনো ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, তা নিরসনে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন ও আমাদের তাৎক্ষণিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

একইসাথে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আন্তরিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাঁর নিরন্তর পরিশ্রমের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।

খাগড়াছড়ি পার্বত্যবাসীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল বলেন, পার্বত্যবাসীর শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য পার্বত্যবাসী আমাকে ভোটের ম্যান্ডেট দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত করেছেন। আমি পার্বত্যবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের মূল ধারায় সাথে সম্পৃক্ত রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। একইসাথে আমি পার্বত্যবাসীর সুসম বন্টনের বিষয়েও সুদৃষ্টি রাখারও অঙ্গিকার করছি। বাংলাদেশের উন্নয়নের স্রোতধারার সাথে অনন্য এক মাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৌঁছানোর জন্য সবসময়ই পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সচেষ্ট রয়েছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল বলেন, একটা বড় পরিসরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। পৃথিবীর সব জায়গাতেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তারপরও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় যে সংঘাত ছিল, ভ্রাতৃঘাতী ছিল, ভুল বুঝাবুঝি ছিল, পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে একটা বড় ধরনের প্রাচীর তৈরি করা রাখা হয়েছিল তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চুক্তির মধ্য দিয়েই নিরসন করেছিলেন। চুক্তি অনুসারে কিছু ধারার বাস্তবায়ন এখনও করার বাকি আছে। এবারে আমি চেষ্টা করব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় এবং পার্বত্যবাসীর সকলের সহযোগিতায় বাকি যে অসামপ্ত ধারাগুলো রয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য আমি কাজ করে যাবো।

আরএস