বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছেন অন্তত ২৮ জন মানুষ। এদের মধ্যে আনুমানিক ২০ জনকে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এরা সবাই রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের কেরোয়া গ্রামের বাসিন্দা।
অসুস্থ অন্যরা ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর ও মতলবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিন দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরমান্দারি ইউনিয়নের চরমান্দারি গ্রামের তফদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বর মো. মানিক রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামের বসু পাটওয়ারী বাড়ির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা তছলিম উদ্দিন পাটওয়ারীর ছোট ছেলে। কনে তারিন আক্তার চরমান্দারির তোফায়েল তপদারের মেয়ে।
[272500]
বর পক্ষ থেকে জানাযায়, শুক্রবার দুপুরে কনের বাড়িতে তাঁদের বিবাহোত্তর ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধ্যার পর থেকেই শতাধিক ব্যক্তি বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে সবাই বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু করে। এরপরই তাঁদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রায়পুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন- তছলিম উদ্দিন পাটওয়ারী (৭০), সোহাগ (২৪), রাব্বি হাছান (৪), ফাইজা (৩), আয়েশা (২৫), শাহাআলম (৬০), তানজিনা (২০), তাজনিন (৪), আনাস (২), নাজিফা (৬), নাছিমা (১), নুসরাত জাহান (১৫), শিউলী আক্তার (৪৫), আহাদ ইসলাম (১), সুলতানা রাজিয়া (২৮), ছাদিয়া (১২), ফাতেমা (৩৫), ভুট্টো পাটওয়ারী (৫৬), নুরজাহান (৫৫). রায়হান (১৬), তাছলিমা আক্তার (৩৫), রুবি (২৮), আনোয়ার (৫০), আফরোজা (২৪) ও আলিফা (৭)।
বরের বড় ভাই মো. মাসুম পাটওয়ারী (৩০) বলেন, ‘সম্ভবত: দই থেকে বিষক্রিয়ার সূত্রপাত হয়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা চলছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন অসুস্থবোধ করছেন। এ ঘটনার পর আমাদের বাড়িতে আজ শনিবার দুপুরের বৌভাত অনুষ্ঠানটিও বাতিল করা হয়েছে।’
[272500]
কনের মামা মো. আজহার ভূঁইয়া বলেন, ‘অনুষ্ঠানে প্রায় ৩শ’ অতিথি খাবার খেয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়। তার মধ্যে ২৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁদেরকে রায়পুর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর ও মতলবে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই রয়েছেন। একই খাওয়ার খাওয়া অন্যরা সুস্থ রয়েছেন।’
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এমনটি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। এরপরও খাবারের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হলে নিশ্চিত কারণটি জানা যাবে। ভর্তি হওয়া ২৮ জনকে আমাদের সাধ্যমতো আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তাঁরা আশংকামুক্ত হওয়ায় কাউকে অন্যত্র রেফার করা হয়নি।
এআরএস