লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চুরি যেনো থামছে না। একের পর এক সংগঠিত হচ্ছে চুরি। শীতকাল আসলেই যেনো চুরির হিড়িক পড়ে রামগঞ্জে। নিঃশ্ব হয়ে যায় ব্যবসায়ীরা ভয় কাজ করে মনে মনে।
গত (২৭ জানুয়ারি) শনিবার দিবাগত রাতে, রামগঞ্জ পাটবাজার ভাই ভাই ষ্টোরের উত্তর পাশে, আরিফ ও আনিছ গার্মেন্টসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক আলহাজ্ব সফি উল্যাহ জানান, আমি গত শনিবার দিবাগত রাত ৮টার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। পরের দিন রোববার সকাল ৯ টার সময় এসে দেখি পুরো দোকানের মালামাল এলোমেলো অবস্থা পড়ে আছে। দোকানের পিছন দিয়ে চোর ডুকে আমার ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকাসহ প্রায় তিন লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। আমি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এভাবে চুরি চলতে থাকলে আমরা ব্যসায়ীরা পথে বসতে হবে। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।
এর আগেও গত (২৫ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার ভোররাতে, রামগঞ্জ পাটবাজার বধুয়া শিল্পালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকান মালিকের দাবি, চোরেরা তার প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দোকানের মালিক কান্তি কর্মকার বলেন, রতন আমাকে জানালে প্রথমে গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করি। ঢুকে দেখি পেছনের দরজা খোলা। ওই রাতে আমার দোকানের কর্মচারী উত্তর দাস ছুটিতে থাকায় দোকানে ঘুমায়নি। এসময় চোরেরা দোকানে ঢুকে আমার প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রামগঞ্জ থানা পুলিশকে জানাই।
রামগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন জানান, যে দুইটি দোকানে চুরি হয়েছে, দোকানগুলো পরিদর্শন করেছি। দেখা যাচ্ছে খালের উপর দোকানের পিছন দিক থেকে চোরচক্র দোকানে ডুকে চুরি করে। কিন্তু নাইটগার্ড থাকে সামনে দিয়ে। তারা তো আর পিছনের অংশ দেখে না। তাই এগুলো প্রতিরোধ করা যায় না। আমি আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে এই বিষয়ে জানাবো।
এদিকে চুরির খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন।
এআরএস