কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শান্তিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক(৫৫)। তিনি ওই গ্রামের স্মার্ট কৃষক হিসেবেই বেশ পরিচিত। কারণ ব্যক্তি উদ্যোগে সবসময় তিনি নতুন নতুন ফল ও সবজি উৎপাদন করে এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছেন। এবার তিনি ৫৫ শতক জমিতে ভারত সুন্দরী ও বল সুন্দরী নামে দুটি নতুন কুলের চাষ করেছেন। ফলের স্বাদ এবং সৌন্দর্য যা খুবই চমৎকার।
তিনি এই কুলের জাতগুলো মাগুরা জেলার একটি বেসরকারী নার্সারী থেকে ২০০টি ছাড়া ৩০ টাকা করে সংগ্রহ করেছে।
কুল একটি উচ্চমূল্যের ফসল। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারীর ১৫ তারিখ পর্যন্ত গাছ রোপনের সময়। ফল আসা শুরু করে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে।
যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কুল চাষি জমির শেখকে প্রশিক্ষণ, উপকরণ ও কারিগরী সহযোগীতা করে আসছে। এতে করে অতিরিক্ত খরচ অনেকটাই কমে এসেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক জমির শেখ ৫৫ শতক জমিতে কুল চাষ করতে ৫০ হাজার টাকার মত খরচ করেছেন। যা থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছেন। এবং গাছে যেই পরিমাণ ফল আছে তা বিক্রি করে আনুমানিক প্রায় তিন লক্ষ টাকার মত লাভ হবে বলে কৃষক জানান। অন্যদিকে কুল গাছের সারির মাঝখানের অংশে বার্মা জাতের রসুন, আইরেট জাতের উন্নত জাতের বেগুন চাষাবাদ করা হয়েছে। যা আগামী কয়েকমাস পর বিক্রির উপযোগী হবে।
কৃষক জমির শেখের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, আমার এই কুল বাজার পর্যন্ত নেওয়া লাগেনা।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমার মাঠ থেকেই তারা ভালো দামে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমি ব্যাপক খুশি এবং আমার গ্রামের অনেকেই এখন এই কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আশা করি আগামীবার আরো ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করবো।
যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, দেশের যে কৃষির ১৪টি অঞ্চল রয়েছে তার মধ্যে যশোর অঞ্চল অন্যতম। এইখানে প্রায় সব ধরনের উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন কৃষকের আয় বহুগুণ বৃদ্ধি করে।
আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে জমির শেখদের মত কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে জাতীয় কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এআরএস