চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (৭৫) আর নেই। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ও ৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনের পর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী চিকিৎসক ডা. আনোয়ারা হক, এক ছেলে ও একমেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিক ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।
[272675]
জানা যায়, চাঁদপুরের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কাউনিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. হাসমত উল্ল্যাহ এবং মায়ের নাম হাজেরা বেগম। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
কর্মজীবন তিনি লেখাপড়া শেষ করে প্রকৌশলী হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। এছাড়াও তিনি দেশের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
[273494]
ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কর্মজীবন শেষ করে তিনি ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ছাড়াও ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা সমিতি সভাপতি, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা সমিতি সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য ছিলেন ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার একমাত্র অনার্স কলেজ। যা ফরিদগঞ্জের একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। এছাড়া তিনি কাওনিয়া শহীদ হাবিব উল্যা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
এআরএস