১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভোলার লালমোহন উপজেলার ‘করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা। প্রায় ৮০ বছর ধরে দুচালা টিনসেড ঘরে চলছে মাদরাটির শিক্ষা কার্যক্রম। বিগত প্রায় দুই যুগ ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে মাদরাসার টিনসেড ঘরটি। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ভিজে যায় অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র ও কাগজপত্রসহ শিক্ষার্থীদের বই-খাতা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদরাসাটিতে প্রথম শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত সাড়ে ৪শত শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে।
প্রতিবছর জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় অন্তত একশত শিক্ষার্থী। আর প্রতিবছর মাদরাসায় নতুন করে ভর্তি হয় দেড়শত’র মত শিক্ষার্থী। এ সকল শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ নিয়ে লেখাপড়া করছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
মাদরাসার আলিম ও দাখিলের শিক্ষার্থী মো. ইউসুফ হোসাইন ও হাসনাইন ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হোসনেয়ারা, জেসমিন ও ফাতেমা জানান, বৃষ্টি আসলে টিনের চালা দিয়ে ভেতরে পানি পড়তে থাকে। এতে করে ভিজে যায় বই-খাতা। তখন শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসে থাকাও অনেক কষ্টের হয়ে যায়। আমরা দ্রুত মাদরাসার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
করিমগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিন বলেন, মাদরাসার দুচালা ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছি। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও অফিসের কার্যক্রম। বর্ষা আসলেই আতঙ্কে থাকি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে। নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য সাতবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আরও বেগবান করতে অতি শিগগিরই একটি পাকা ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রতিটি মাদরাসায় পর্যায়ক্রমে পাকা ভবন হবে। এ মাদরাসাটির ভবনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। আশা করছি শিগগিরই মাদরাসাটির নতুন পাকা একটি ভবন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পাস হবে।
ইএইচ