বাগেরহাটের রামপালের বিশ্বশুক সেবাশ্রমের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলবাজরা ইতোমধ্যে ৬-৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। দফায় দফায় বৈঠক করেও জমি দখলমুক্ত করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট সেবাশ্রম কর্তৃপক্ষ। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের বিশ্বশুক সেবাশ্রমের প্রায় ২ একর জমি রয়েছে। ওই জমিতে একটি আশ্রম, একটি কালি মন্দির, একটি বাগান ও একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। ওই জমি ও মৎস্য ঘেরটি দখলবাজদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় অরূপ গোলদার, বেলাল হোসেন ও খুলনার ফজলুর রহমান দখল করে মৎস্য চাষ ও মূল্যবান গাছপালা কেটে আত্মসাৎ করে আসছেন। দফায় দফায় আবেদন ও বৈঠক করেও কোনোভাবেই প্রতিকার মিলছে না। আশ্রমের সেবায়েতরা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছেন।
বিশ্বশুক সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রামপ্রসাদ রায় অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে অরূপ গোলদার, ভাগার বেলাল ও ফজলুর রহমান কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের চেষ্টা করছে। জমিটি খুলনা মোংলা মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় প্রায় তিন কোটি টাকার মূল্য রয়েছে। ওই জমিতে আশ্রম ঘর, বাগান, কালি মন্দির ও একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। এখানে ভবিষ্যতে একটি দাতব্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অরূপ গোলদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জায়গা ঘিরেছি, জায়গায় ভোগদখল করে মাছ চাষ করছি। এর মধ্যে আমারও জায়গা আছে। আশ্রমের জায়গা হলে আমি ছেড়ে দিব।
অপর অভিযুক্ত ভাগার বেলাল ও খুলনার ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা অরূপ গোলদারের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি। আশ্রমের জায়গা হলে আমরা ওখানে ঘের করবো না। তারা কোন ঝামেলার মধ্যে যাবে না বলে জানান।
আশ্রমের সেবায়েতসহ ভক্তরা দ্রুত জায়গার দখলমুক্ত করে সেবায়েত ও পূর্ণার্থীরা যাতে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
ইএইচ