শান্তি-সম্প্রীতি উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সাবেক শান্তি বাহিনীর ৯২ জন সদস্যদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড রিজিয়নের উদ্যোগে ও পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে সম্প্রীতি টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির চাউল বাজার সংলগ্ন খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটু-আই) মেজর মো. জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্প্রীতি টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি।
সাবেক শান্তি বাহিনীর কমান্ডার ও বর্তমান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা বলেন, আমরা শান্তিবাহিনী ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক অস্ত্র সমর্থন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসি। পরে জেলার ৯২ জন সাবেক শান্তি বাহিনী সদস্যদের জন্য খাগড়াছড়ি রিজিয়ন আমাদেরকে খাগড়াছড়ি চাউল বাজারে একটি ভবন করে দেন। পুরাতন ভবনটিকে ভেঙে নতুন করে সম্প্রীতি টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে আমাদের কল্যাণের জন্য। আমি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান এসপিপি এনডিসি পিএসসি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরীর সঞ্চালনায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, শুভ মঙ্গল চাকমা, রবি শংকর চাকমাসহ অস্ত্র সমর্থনকারী শান্তি বাহিনী সদস্য ও বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে সকল সম্প্রদায় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। আমরা পাহাড়ের সকল ধর্মের বর্ণের জাতিগোষ্ঠীদের সকলে একসঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই।
ইএইচ