পরিবেশবান্ধব ও প্রযুক্তি ছাড়াই কৃষিজমি ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের ভিতরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় গড়ে উঠেছে ৪টি ইটভাটা। আর এসব ইটভাটায় পুড়ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ।
পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা সরকারের অনুমোদন নেই এরপরেও বছরের পর বছর চলছে ইটভাটা। বনের গাছ ব্যবহার হচ্ছে এসব ইটভাটার জ্বালানির জোগান দিতে। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। উজাড় হচ্ছে বন। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এতে করে একদিকে যেমন বন কাঠশূন্য হচ্ছে আবার অন্যদিকে ইটভাটা থেকে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা। পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ, জ্বালানি হিসেবে বনজ সম্পদ উজাড় করা হচ্ছে নির্বিচারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ও টইটং ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ৪টি ইটভাটা। যার সবকটিই সরকারি অনুমোদন ছাড়া।
‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩’ না মেনে ফসলির জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে এবং ইট পোড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক বনের কাঠ কাটা হচ্ছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৬ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোন জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না’। এ আইন অমান্য করলে ‘অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’ মর্মে এ আইনের ১৬ ধারায় বলা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে ইটভাটা। এছাড়া বছরের বিশেষ দিনগুলোতে (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোক দিবস, বিজয় দিবস) উদ্যাপনের কথা বলে প্রতিটি ভাটা থেকে চাঁদা আদায় করে প্রশাসন। সবকিছু ঠিকঠাক রেখে নির্দ্বিদায় চলছে এসব ইটভাটা।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরি বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি এসবিএম নামের একটি ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কাগজপত্র সঠিক না থাকলে অন্য ইটভাটাগুলোতেও বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ