ঝালকাঠিতে দুটি কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম

বাংলার সুয়েজখাল খ্যাত ঝালকাঠির গাবখান নদীতে দুটি কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং অপরটিকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাবখান নদীর সারেঙ্গল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বুধবার সকালে নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় জাহাজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কোনো অভিযোগ না থাকায় সমঝোতা করেছে।

নিমজ্জিত জাহাজটি উদ্ধারে নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।

দুর্ঘটনা কবলিত এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী রেজোয়ান জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সারেঙ্গল বাজার সংলগ্ন এলাকায় নদীতে বিকট শব্দ হয়। দৌড়ে তীরে এসে দেখি দুটি জাহাজ সংঘর্ষে আটকে গেছে। একটি থেকে অপরটি আলাদা হচ্ছিল না। কাউখালীর দিক থেকে আসা খালি কার্গো মারিয়া রহমান-৩ এবং সুগন্ধা নদীর মোহনা থেকে আকিজ সিমেন্ট ও জ্বালানি তেল বোঝাই নূর-এ মদিনার সংঘর্ষে তলা ফেটে যায়। কিছুক্ষণ আটকা থাকা অবস্থার পরে সিমেন্ট ও তেল বোঝাই নূর-এ মদিনা কার্গোতে আস্তে আস্তে পানি ঢুকে তলিয়ে যেতে থাকে।

কার্গোটিতে থাকা শ্রমিকরা জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে সাড়ে ৯ হাজার বস্তা সিমেন্ট ও জ্বালানি এবং ভোজ্যতেল নিয়ে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট এলাকায় যাত্রা করে নূর-এ মদিনা নামের একটি কার্গো। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মারিয়া রহমান-৩ নামের অপর একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে নূর-এ মদিনা নামের কার্গোটির। এতে কার্গোটির তলা ফেটে গিয়ে গাবখান চ্যানেলে মালামালসহ ডুবে যায়। এ সময় কার্গোটিতে থাকা চালকসহ ৪ শ্রমিক সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

আকিজ সিমেন্ট কোম্পানি লজিস্টিক এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ হোসেন জানান, ডুবে যাওয়া কার্গোটিতে আকিজ কোম্পানির সিমেন্ট এবং ৬শ লিটার জ্বালানি তেল ছিল। ঝালকাঠি সদর থানা ও নৌ-পুলিশের মধ্যস্থতায় আমাদের সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশা করছি ভালো একটা সমাধানই হবে।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার স্থানে চ্যানেলটিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে কার্গোটির ৪ শ্রমিককেই। এখনো কার্গোটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মাল বোঝাই কার্গো নূর-এ মদিনাকে ধাক্কা মারা খালি কার্গো মারিয়া রহমানকে আটক করা হয়েছে। ওই কার্গোর লোকজনকেও থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। নৌ-পুলিশ উভয় কার্গো সংশ্লিষ্টকে খবর দিয়েছে। উভয় গ্রুপই কোনো অভিযোগ না দিয়ে নৌ-পুলিশের মধ্যস্থতায় সমঝোতার চেষ্টা চালছে।

ইএইচ