আমার সংবাদে সংবাদ প্রকাশ

সেই প্রতারক শামীমকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

কখনো পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সদস্য, কখনো পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এমপি-মন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক এমন নানাবিধ পরিচয়ে চাকরি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক শামীমকে (৩৮) নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ‘সরকারি চাকরি দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন শামীম’-এ শিরোনামে দৈনিক আমার সংবাদের অনলাইন সংস্করণে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পরে রাতেই পৌর এলাকার আজাদমোড় থেকে প্রতারক শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে রাত ১২টায় ঘোড়াঘাট থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করলে, ওই মামলায় শামীমকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার শামীম মিয়া (৩৮) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সিধন গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার নয়াপাড়া গ্রামে বিবাহ করে বসবাস করছেন।

এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াঘাট থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার বাদী সিরাজুল ইসলামের ছেলে ওমর ফারুক ফয়সালকে গত বছর পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ লাখ সাড়ে ৫ হাজার টাকা নেন গ্রেপ্তার শামীম। বিনিময়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসানের স্বাক্ষর জাল করে পুলিশ সদর দপ্তরের প্যাডে একটি ভুয়া সুপারিশপত্র ভুক্তভোগী সিরাজুলকে দেন শামীম। পুলিশে নিয়োগে কোন ধরনের অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই। যোগ্যতার ভিত্তিতে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে পুলিশে নিয়োগ সম্পন্ন হচ্ছে।

প্রতারক শামীম একজন প্রতারক এবং প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামিকে রিমান্ডের আবেদন করা হবেও বলে জানান তিনি।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার প্রতারক শামীম মিয়াকে শুক্রবার বিকালে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘোড়াঘাটসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু লোককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি। সেসব বিষয়েও আমরা তদন্ত করছি।’

ইএইচ