বরগুনার তালতলী উপজেলায় সোলায়মান নামের এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে মেয়েকে দিয়ে আসনে। অনশনের পর থেকেই কলেজছাত্র সোলায়মান আত্মগোপনে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকার প্রেমিক সোলায়মানের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ওই স্কুলছাত্রী। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানেই অনশন করছে ওই ছাত্রী।
প্রেমিক সোলায়মান তাঁতিপাড়া এলাকার হাবিব মুন্সির ছেলে ও তালতলী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী একই এলাকার বাসিন্দা।
বিয়ের দাবিতে অনশনে বসা স্কুলছাত্রী আমার সংবাদকে বলেন, ৬ মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোলায়মান আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা দেখায় সোলায়মানসহ তার পরিবার। পরে আমার বাবা আমাকে বিয়ের জন্য এই বাড়িতে দিয়ে গেছেন। আমি সোলায়মানকে বিয়ের জন্য গতকাল রাত থেকে অনশনে বসেছি। আমাকে বিয়ে না করলে এই বাড়িতেই অবস্থান করবো।
অনশনে থাকা স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করছে সোলায়মান। আমার ইজ্জত গেছে, এখন আমার মেয়েকে সোলামানের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে দিয়ে আসছি। আমার মেয়েকে বিয়ে না করলে আমি থানায় যাবো। এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে প্রেমিক সোলায়মানের পরিবারের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তারা।
তালতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত (ওসি) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ