পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তৃতীয়বারের মতো চাষ হচ্ছে শীত প্রধান দেশের ফুল টিউলিপ । দেশে খামার পর্যায়ে ১৬ নারী কৃষাণীদের নিয়ে ইকো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এবার ২৫ হাজার ১৯ প্রজাতির ভীনদেশী টিউলিপ ফুটাবে, ইতিমধ্যে বাগানে ফুল চলে এসেছে। ইতিমধ্যে ফুল দেখতে ভীড় করতে শুরু করেছে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা৷ ফুল দেখার পাশাপাশি ছবিও তুলছে তারা একই সাথে অনেকে ফুল কিনেও নিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার থেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য ফিতা কেটে বাগানের প্রবেশ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। উন্মুক্ত করেন ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার।
ইএসডিও নিজস্ব অর্থায়নে তেঁতুলিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম দর্জিপাড়ায় এই ফুল চাষ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এবারো প্রতিবারের ন্যায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
গত দুই বছর টিউলিপ দেখতে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। এই টিউলিপ ফুল দেখতে হলে প্রবেশ ফি দিয়ে বাগানে প্রবেশ করতে হবে।
ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার বলেন, বাংলাদেশে খামার পর্যায়ে একদম প্রান্তিক কৃষান-কৃষাণী দিয়ে টিউলিপ চাষের তৃতীয় বর্ষ চলছে। এবার টিউলিপের ভাল্ব (বীজ )ও বিশ্বব্যাপী ডলার সংকটের কারনে টিউলিপ চাষ কিছুটা বিলম্বে শুরু হয়েছে।
তবে এবার একটি ভালো দিকও রয়েছে, বিগত বছর গুলোতে টিউলিপ ২১ থেকে ২৪ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতো। এবার আমরা প্রত্যাশা করছি দুই মাসব্যাপি এই ১৯টি প্রজাতির টিউলিপের সৌন্দর্য ও সৌরভ তেঁতুলিয়া থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিবে। আমরা সারা বছর পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।
ইএসডিও তেঁতুলিয়ার ব্যবস্থাপক ওলিয়র রহমান জানান, আমাদের ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্য এই টিউলিপ চাষের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছেন। তৃতীয়বারের মতো এবারে ২৫ হাজার ভাল্ব (বীজ) বোপন করা হয়েছে , আশা করছি টিউলিপ চাষিরা অনেক লাভবান হবে ।
টিউলিপ প্রজেক্ট এর কৃষিবিদ কল্যাণ মহন্ত জানান, এখানকার আবহাওয়া টিউলিপ চাষের অনূকূলে হওয়ায় টিউলিপ চাষ ভালো হয়। টিউলিপ ফুল প্রায় দুইশ পঞ্চাশ প্রজাতির রয়েছে, তাই আমি এখানে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি এখানে কোন কোন প্রজাতি এই মাটির জন্য উপযোগী ।
টিউলিপ কৃষাণী মোর্শেদা বেগম ও আয়েশা সিদ্দিকা জানান, আমরা আশা করছি চলতিবছর টিউলিপ চাষে অনেক লাভবান হবো, এবার প্রায় দুই মাসব্যাপি বাগানে ফুল থাকবে৷
টিউলিপ বাগান দেখতে আসা ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাঠক জানান, ইএসডিও তত্বাবধানে ১৯ প্রজাতির টিউলিপ চাষের মাধ্যমে, নারী কৃষাণীদের কর্মসংস্থান আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিক ভাবে দেশের উন্নয়ন হবে।
এআরএস