ডুপ্লেক্স বাড়ি টার্গেট করে কখনো ফেরিওয়ালা আবার কখনো ছবি তোলার ছদ্মবেশে ডাকাতির প্রস্তুতি নিতো। পরে সুযোগ বুঝে ডাকাতি করতো আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা। ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়ি ডাকাতি ঘটনায় করা মামলায় নয় আন্তঃজেলা ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার (১৭) ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতে নিরিবিলি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি গুলো টার্গেট করে তারা বাড়ির গ্রিল কেটে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। আসামিদের কাছে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত নগদ ১৯ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন মজিদ বেমারা এলাকায় বোরহান উদ্দিন ভুঁইয়া তাঁর ডুপ্লেক্স বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করেন। গত ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩ টার দিকে জানালার গ্রিল কেটে ৫/৬ জন ডাকাত ২য় তলার রুমের দরজার লক ও সিটকানি ভেঙ্গে রুমে ঢুকেন। তখন বোরহান উদ্দিন এবং তার স্ত্রীকে মারধর করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং গামছা ও ওড়না দিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা রুমের ভিতরে ওয়ার ড্রপে থাকা নগদ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।
অতঃপর বোরহান উদ্দিনের ছেলের গলায় ধারালো দা ধরে কাঠের ওয়ারড্রপে থাকা একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একজোড়া স্বর্ণের হাতের রুলি ও চারটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন ভুঁইয়া (৪৩) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন-আসামী মনির ওরফে কাটার মনির, মাসুদ, সামসুদ্দিন ওরফে নানা, আলিফ, জহিরুল, রোকন, সাব্বির, জাহিদ ও শরীফ।
বিআরইউ