গমভর্তি বিজি ওয়াগন নামে মালবাহী ট্রেনের বগি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে লাইনচ্যুত হওয়ার ৮ ঘণ্টা পর পার্বতীপুর-রংপুর রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে পার্বতীপুর-রংপুর রেলপথে পার্বতীপুর শহরের গুলপাড়া এলাকায় মালবাহী বগি (১০০৩২৬) লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে রেলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে (লালমনিরহাট) আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্যরা হলেন, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী (এএমই, লালমনিরহাট) ও পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও, লালমনিরহাট)। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে পার্বতীপুর-রংপুর মিটারগেজ সেকশন আন্তঃনগরসহ সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় যায়। সকাল ১০টার পর থেকে পার্বতীপুর লোকোসেড থেকে রিলিফ ট্রেন (উদ্ধারকারী গাড়ি) এনে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করা হয়। মালবাহী বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর বিকেল ৪টার দিকে বগিগুলা সরিয়ে নেওয়া হয়।
[275581]
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে লাইন ক্লিয়ার হওয়ার পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে, দোলনচাপা ট্রেন পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে ৭ ঘণ্টা দেরিতে বোনারপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কমিউটার ট্রেন খোলাহাটি থেকে পার্বতীপুর রেলস্টেশনে ছেড়ে আসে বিকেল ৫টায়, বুড়িমারী এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পার্বতীপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। মালবাহী বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৪টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস বদরগঞ্জ রেলস্টেশনে, কমিউটার খোলাহাটি রেলস্টেশনে, বুড়িমারি লোকাল শ্যামপুর রেলস্টেশনে ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস পার্বতীপুরে আটকা পড়ে।
পার্বতীপুরে কর্মরত রেলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্ত জানান, রেলের স্লিপার চেঞ্জের কারণেই মালবাহী বগিটি লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক) আব্দুস সাফী জানান, রেললাইনের স্লিপার পরিবর্তনের কাজ করায় ট্রেন লাইনচ্যুতের এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ট্রেনের গতি কম ছিল।
পার্বতীপুর স্টেশন মাস্টার মো. রফিক চৌধুরী জানান, ট্রেনের মালবাহীটি লাইনচ্যুতের ঘটনায় তিন সদস্যেরও একটি কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়ায় পার্বতীপুর-রংপুর রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আরএস