ময়লা-আবর্জনা আর কচুরিপানার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে কিশোরগঞ্জ শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলে এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদী। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে `কিশোরগঞ্জ নরসুন্দা নদী খনন ও পৌরসভা এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প` ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
নদী খনন করে লেকে পরিণত করা হলেও অবস্থার উন্নতি হয় নি। নরসুন্দা নদী প্রকল্পে অনেক লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে এবং খননের পর নদীটি ময়লা আর কচুরিপানার ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। এছাড়াও নদীর পাড় সংলগ্ন অনেক জমি প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথ উদ্যোগে নদী খনন প্রকল্পের কাজটি করে।
প্রকল্পের কাজ টি সমাপ্ত হয় ২০১৬ সালে। নরসুন্দা নদী খননের পর পানির প্রবাহ না থাকায় কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। যার ফলে নদীটি নাব্যতা হারিয়ে ময়লা আর আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। স্রোত না থাকায় নদীর পচা দুর্গন্ধ যুক্ত পানি থেকে রোগজীবাণু ছড়াচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়ার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে নরসুন্দার শুরু। প্রায় ৬৭ কিলোমিটার বয়ে যাওয়ার পর এটি ইটনায় ধনু নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কচুরিপানা পচে নদীর পানি কালো বর্ণ ধারণ করেছে, সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কোথাও কোথাও তা ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দখল হয়ে আছে পাড়সহ মাঝ নদীও। জেগে ওঠা ছোট ছোট চরে অনেকে ফসল চাষ করছেন।
নরসুন্দা রক্ষা ও কিশোরগঞ্জ শহর উন্নয়নে এ অবস্থা থেকে উত্তরনে প্রকল্প কাজে ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) বাস্তবায়নের দাবি জানান শহরবাসী।
বিআরইউ