মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কাতরাশিন গ্রামে ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মো. আব্বাস আলী, মো. আ. মান্নান মিয়া ও ফারুকের বিরুদ্ধে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে বসতবাড়িসহ কৃষি জমি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. তোফাজ্জল হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উথুলী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্বাস আলির নির্দেশে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আ. মান্নান ও ফারুক সরকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবৎ ইছামতি নদী থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। নদীর পাড়ের কৃষি জমি ও বসতবাড়ির মালিকরা মাটি কাটায় বাধা দিলে সাময়িক বন্ধ রাখলেও পুনরায় মাটি কেটে বিক্রি করছে তারা। মাটি কাটার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদেরকে নানা ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে তারা।
নদীর পারের বাসিন্দা মর্জিনাসহ একাধিক লোকজন জানান, আমরা তাদের হাতেপায়ে ধরেছি। এই নদী থেকে মাটি কাটলে আমাদের বাড়ি-ঘর থাকবে না। তারা চেয়ারম্যানের ক্ষমতার বলে রাতভর মাটি কাটছে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিলে আমাদের আবাদি জমিসহ বাড়ি-ঘর ভাঙনের কবলে পড়বে।
মাটি ব্যবসায়ী ফারুকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উথুলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আ. মান্নন জানান, মাটিতো বিক্রি করছি না, রাস্তা মেরামতের কাজ করছি। ওখানে আরেকটি ভেকু আছে ,সেই ভেকুর মালিক হাবেজ সাবের নিকট মাটি বিক্রি করছে।
নদী থেকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাস্তার কাজের জন্য নদী থেকে মাটি কাটার জন্য বলেছে।
উথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্বাস আলি বলেন, এলাকার মানুষের গোসলের পানির খুব অভাব, তাই তাদের পানির ব্যবস্থা করার জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কাটছি। এখান থেকে যে মাটি উঠছে তা দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, নদী থেকে বালু বা মাটি উত্তোলনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ইতিপূর্বেও আমরা হাজার হাজার মিটার পাইপ নষ্ট করেছি মেশিন জব্দ করেছি, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এখন যে অভিযোগটা আমরা পেয়েছি, রাতের আধারে ইছামতি নদী থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এটা নিয়ে আমরা প্রক্রিয়াধীন আছি।
ইএইচ