নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের নিত্যানন্দী গ্রামের দিনমজুর শফিকুল ইসলামের মেয়ে শরিফা (৭)। সহপাঠীদের সঙ্গে প্রতিদিনের মতো স্কুল যাচ্ছিল। পথে একটি বেপরোয়া ট্রাক্টর ধাক্কা দিলে সারাজীবনের জন্য হারাতে হয় তার একটি পা। সে এখন আর সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুল যেতে পারছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী নরেশ রায় জানান, মেয়েটি তার সহপাঠীদের সাথে স্কুল যাচ্ছিল, পথিমধ্যে বেপরোয়া জমি চাষের ট্রাক্টর ধাক্কা দিলে সাথে সাথে একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক রংপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠান। সেখান থেকে চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন সেখানে নিয়ে গিয়েও পা রক্ষা যায়নি। চিরদিনের জন্য পা হারাতে হলো শিশু শরিফার।
ট্রাক্টর মালিক ভুপতি রায় ও ড্রাইভার শাহিন আজও মেয়েটির কোন খোঁজ খবর নেয়নি। দিনমজুর বাবার অভাবের সংসারে মেয়ের চিকিৎসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
ঘটনার পর সদর থানায় অভিযোগ দিলে ট্রাক্টর মালিক ভুপতি রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শরিফার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স বিহীন ট্রাক্টর চালাতে দেন অল্প বয়সের ড্রাইভারকে। অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে আজ আমার মেয়ের একটি পা হারাতে হলো। আমি অন্যের বাড়িতে মজুরি করে সংসার চালাই। মেয়েকে বাঁচাতে আমার সব সহায় সম্বল শেষ করেছি। আমি আজ অসহায় হয়ে পরেছি। ট্রাক্টর মালিক, ড্রাইভার কেউ আমার পরিবারে এখনো খোঁজ খবর নেয়নি। আর্থিকভাবে আমাকে কোন সহযোগিতা করেনি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার উপযুক্ত বিচার চাই।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাক্টর মালিককে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, ড্রাইভারকে পাওয়া যায়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করা হয়েছে।
ইএইচ