চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রতিনিয়ত চুরি-ডাকাতি ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তিনদিনের ব্যবধানে পৌর এলাকায় বড় ধরনের দুটি দুর্ধর্ষ চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। চুরি-ডাকাতিকে ঘিরে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এসব চুরি-ডাকাতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।
বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় উপজেলার সদরে অস্ত্রের মুখে ঘরের সকলকে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে মারধর এবং ঘরে রক্ষিত স্বর্ণাংলাকার ও অর্থ লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
পরে ডাকাতি শেষে বাড়ির অদূরে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রায় আড়াই ফুটের অস্ত্র মাটিতে গেঁথে রেখে যায় ডাকাত দল।
বুধবার দিনগত রাতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরকুমিরা হারিছ উদ্দিন মিজির বাড়ির আব্দুল কাদির বকুলের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির পর জাতীয় জরুরি সেবার সংবাদের ভিত্ততে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
আব্দুল কাদির বকুল জানান, বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে অস্ত্রধারী ৮/৯ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। পরে আমাদের ঘরের এক এক করে সকলকে বেঁধে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা এবং ৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে তারা নিয়ে যায়। ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ভোরবেলায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জায়েদ হোসেন বাবুল পাটওয়ারীর ঘরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চোরের দল ঘরে থাকা ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাবুল পাটওয়ারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডাকাতির বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার (ওসি) তদন্ত প্রদীপ মন্ডল জানান, ৯৯৯ এর কলের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ইএইচ