পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর ইমরান গাজী হত্যা মামলার তদন্তে থানা পুলিশ বিতর্কিত ভূমিকা পালন করলেও সাফল্য দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর তারা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪ জন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ১ জন এবং ৭ই মার্চ পিরোজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
বর্তমানে কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন- সবুজ নগর এলাকার ফাতিমা বেগম, মেহেদী হাসান, হারন অর রশীদ, পশ্চিম টিকিকাটা এলাকার ফেরদৌস মৃধা এবং মুহিত মৃধা ও হালিম গাজী । অভিযুক্ত আসামি ইলিয়াস খলিফা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে থাকলেও সবুজ নগর এলাকার রফি ফকিরের পুত্র রাজু ফকির পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মো. আহসান কবির জানান, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার (অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক) এবং পিবিআই পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় আশার আলো দেখতে পেয়েছি। ১০ জন সাক্ষী এবং ১৫ জন নিরপেক্ষ সাক্ষীদের প্রমাণ সাক্ষ্য নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পূর্বের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের সাথে সাক্ষীদের জবানবন্দি ও পারিপার্শ্বিক বিষয় সমূহের মিল না থাকায় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মৃত ইমরান গাজীর (২৫) লাশ পুনরায় ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
মামলার বাদী আব্দুলাহ গাজী জানান, ইমরান গাজী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে পুলিশ বিতর্কিত ভূমিকা পালন করে। তারা সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়। থানায় মামলা না নিয়ে এ ঘটনায় তারা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বলে জানা যায়। আদালতে মামলা না করলে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতাম।
ইএইচ