শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলাধীন নদীবেষ্টিত কাঁচিকাটা ইউপি নির্বাচনে দায়িত্বপালন শেষে ফেরার পথে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মোক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) রাতে ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোক্তার হোসেন উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামের মো. বাচ্চু গাজীর ছেলে।
আহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা ও জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা) বাসিত সাত্তার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ, ফরমস এন্ড স্টেশনারি এবং প্রবাসী কল্যাণ শাখা) আব্দুলাহ আল মামুন, ভেদরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হাফিজ নাদিম, অফিস সহায়ক জুয়েল পাল, হুমায়ূন কবির ও স্পিডবোটের সহকারী মো. সাইফুল। তাদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসিত সাত্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাতে কাঁচিকাটা ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসিত সাত্তার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হাফিজ নাদিম সহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা স্পিডবোটে ফেরার সময় ঘাটের কাছাকাছি আসলে তাদের বহনকারী স্পিডবোটের সাথে বিপরীত দিক আসা আরেকটি স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়।
এতে স্পিডবোটে থাকা সবাই আহত হয় এবং অপর স্পিডবোটে থাকা মোক্তার হোসেন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসিত সাত্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, কাঁচিকাটা ইউনিয়ন নির্বাচনে নদীর ওপারে ৭টি কেন্দ্রে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে অপর একটি স্পিডবোটের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ম্যাজিস্ট্রেটসহ স্পিডবোটে থাকা নয়জন আহত হয়। এবং অপর স্পিডবোটের একজন নিহত হন।
এইচআর