ইজিবাইকের দখলে কিশোরগঞ্জ শহর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে দিন দিন বাড়ছে ইজিবাইক। তিন চাকার এ বাহনের বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা এবং পার্কিং করায় লেগেই থাকে যানজট। চরম ভোগান্তির শিকার হন শহরবাসী।

জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিশোরগঞ্জ শহরে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি ইজিবাইক চলাচল করছে, যার সংখ্যা প্রায় ২-৩ হাজার হবে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালকদের কারণেই সড়কে যানজট হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

পৌরসভার তথ্যমতে, শহরে ইজিবাইকের সংখ্যা দেড় হাজারের মতো।

পৌর মেয়র নানা কর্মসূচি হাতে নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ইজিবাইকের ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে না শহরের সাধারণ মানুষের। যানজট কমাতে পৌরসভা থেকে লাইসেন্স অনুমোদন করা হয় কিছু সংখ্যক ইজিবাইকের অনুকূলে। এর বাইরে শহরের ভিতর যে ইজিবাইক দেখা যায় তার অধিকাংশই অন্য উপজেলা থেকে এসে ভাড়া খাটে। ফলে বর্তমানে শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রতিনিয়ত দেখা যায় ইজিবাইকের জটলা। এ জট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ লাগাতার চেষ্টা করলেও সুরাহা মিলছে না।

কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ জানান, পুরানথানা এলাকা থেকে তার স্কুলে আসতে সময় লাগে ৫ মিনিট। কিন্তু ইজিবাইকের কারণে প্রায়ই যানজটে পড়ে রিকশায় বসে থাকতে হয় ২০-২৫ মিনিট।

ব্যবসায়ী রাজন বলেন, ইজিবাইকগুলো দিন দিন বেপোরোয়াভাবে চলাচল করছে। চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে এসব যান। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পথচারী ও অন্য যানবাহনের চালক- যাত্রীদের।
কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক শাহজাহান জানান, যানজট নিরসনে আমরা ট্রাফিক বিভাগ দিনরাত শ্রম দিচ্ছি। তবে ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এবং অদক্ষ চালকের কারণে যানজট বৃদ্ধি পায়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালকরা ইজিবাইক চালালে যানজট ও দুর্ঘটনাও কমবে বলে তিনি মনে করেন।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া জানান, শহরে ইজিবাইক চলাচল নিয়ে আমাদের বেশকিছু পরিকল্পনা আছে। পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়ন হলে যানজট নিরসন হবে বলে আশা করি।

ইএইচ