বরগুনায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ২০

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম

বরগুনার আমতলী পৌরসভায় নির্বাচনি জের ধরে মোবাইল প্রতীক ও হ্যাঙ্গার প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহতদের আমতলী ও বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার সকালে আমতলী পৌর শহরের নীচকাটা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থক সবুজ খাঁন ও তার পরিবারের লোকজন আরেক হ্যাঙ্কার প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল খাঁনের সমর্থক রাসেদ খাঁন ও তার পরিবারের লোকজন মধ্যে নির্বাচনি জয়-পরাজয় নিয়ে শনিবার রাতে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সবুজ খাঁন ও তার লোকজন রাসেদ খাঁনের বাড়িতে হামলা করে ঘর ও দুইটি অটোগাড়ি  ভাঙচুর করে বলে দাবি রাসেদ খাঁনের।

এ ঘটনার আধঘণ্টা পরে রাসেদ খাঁন তার লোকজন নিয়ে সবুজ খাঁনের লোকজনের ওপর হামলা চালায় এমন দাবি সবুজ খানের চাচা নাজমুল খানের। এ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুপক্ষের আহত শহীদুল খাঁন, রেহেনা, ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খাঁন, লিজা, খাদিজা, সালেহা, বশির খাঁন, সাফিয়া, নাজমুল খাঁন, নুর চেহারা, রিজিয়া, রাসেদ ও রবিন খাঁনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। চিকিৎসক গুরুতর আহত ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খাঁন, বশির খাঁন, শহীদুল ও রেহেনাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত নাজমুল খাঁন বলেন, আমরা সবাই একই বংশের লোক। নির্বাচনি জের ধরে রাসেদ খাঁন ও তার লোকজন আমাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।

রাসেদ খাঁন বলেন, নির্বাচনে জয়ী হয়েই সবুজ খাঁন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সকালে সবুজের নেতৃত্বে তার লোকজন আমার ঘর ও দুইটি অটো গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমরা এতে বাঁধা দিলে আমাকে ও  আমার বাবা মাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।  

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত ছয় জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। 
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএইচ