বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩১নং কাঁচামালের মাঠে আমদানিকৃত মাছের ট্রাকে পাওয়া গেছে ভারতীয় দামি শাড়ি ও থ্রিপিস।
বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে স্থাপিত মোবাইল স্ক্যানিং মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় আবারো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বৈধ পথে আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালান বেড়েছে।
শনিবার রাতে আমদানিকৃত মাছের ট্রাক থেকে অবৈধভাবে আনা শাড়ি, থ্রিপিসের একটি চালান উদ্ধার করেছে কাস্টমস সদস্যরা।
পণ্য চালানটির আমদানিকারক মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজ। কাস্টমস থেকে এ চালানটি খালাসের চেষ্টা করছিলেন সোনালী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সি লিমিটেডের শান্ত। এর আগেও শান্ত এ ধরনের পণ্য চালান খালাস নিতে গিয়ে একাধিবার আটক করেছে কাস্টমস।
বেনাপোলের সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, মাছের ট্রাকে মিথ্যা ঘোষণায় গার্মেন্টস চোরাচালানের ফলে সৎ ব্যবসায়ীরা পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
মাছ বহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালক আলমগীর জানান, তার মাছের ট্রাক থেকে কাস্টমস শাড়ি, থ্রিপিসের চালান উদ্ধার করেছে। তবে মাছের মধ্যে কারা এসব উঠিয়েছে তিনি জানেন না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ পণ্যর কোন তথ্য থাকলে কাস্টমসকে সহযোগিতা করবেন।
ইএইচ