মৃত্যুর আগে স্ত্রী ও নিজের জন্য কবর খুঁড়লেন মাদরাসা শিক্ষক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম

মৃত্যুর আগেই স্ত্রী ও নিজের জন্য কবর খুঁড়েছেন এক মাদরাসার শিক্ষক। কবরের নিচে ও চারপাশে রড দিয়ে (সিসি ঢালাই) পাকা করে সামনা-সামনি দুটি কবর তৈরি করা হয়েছে। কবর দুটি তৈরি করে তিনি নিয়মিত পরিচর্যাও করছেন, যেন আগাছা-পরগাছা বা লতাপাতা ঘিরে না ফেলে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতূহলের সৃষ্টি করছে। দূরদূরান্ত থেকে যারাই খবর পেয়েছেন সবাই কবর দুটি দেখতে সেখানে একবার আসছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্রগঞ্জ ইউপির পাঁচপাড়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে। ওই বাড়ির মো. ওসমান হারুন (বিএসসি) নামের এক মাদরাসা শিক্ষক কবর দুটি তৈরি করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচপাড়া গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

নিজের কবর তৈরি করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষক ওসমান হারুন বলেন, আমি একান্তই ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে আমার পারিবারিক কবরস্থানে নিজের জন্য এবং আমার স্ত্রীর জন্য কবরের জায়গা নির্ধারণ করে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছি।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাদরাসার শিক্ষক ওসমান হারুন বলেন, হয়ত এটা ঠিক না। তবুও আমি আমার মনের আক্ষেপ থেকে আগাম স্থান নির্ধারণ ও কবর তৈরি করে কবরের পরিচর্যা করে যেতে চাই। কে কি মনে করলো এটাতে আমি বিচলিত নই।

স্থানীয় বাসিন্দা সামছুল হক, আবদুল মান্নান, কবির হোসেন ও মমতাজ আলী পাটোয়ারী তারা সবাই বলেন, আমরা একজন শিক্ষকের এরকম কাজে বিব্রতবোধ করছি। উনি ও উনার পরিবার সমাজে সম্মানিত মানুষ।

স্থানীয় পাঁচপাড়া দারুল আমান নূরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. খোরশেদ আলম বলেন- আগাম কবর তৈরি করে রাখা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ, কার মরণ কোথায় কীভাবে হবে? আমরা কেউই জানি না। উনার একাজ সমাজে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।

ইএইচ