মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল করে সরকারি চাকরি করার অভিযোগ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম

পোষ্য কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং নাতিকে চাকরিতে নিয়োগের বিধান রয়েছে। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে তার নাতি সেজে মো. আবুল কাসেম নামে এক ব্যক্তি প্রায় ১১ বছর ধরে সরকারি চাকরি করছেন বর্তমানে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় কর্মরত আছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

তিনি দ্বিতীয় শ্রেণি মর্যাদার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন মোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের কঞ্ছিথল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. নবীর উদ্দিন আকন্দের কাগজপত্র জাল করে ভুয়া নাতি সেজে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি করছেন আবুল কাসেম।

আবুল কাসেম ২০১৩ সালে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় যোগদান করেছিলেন। বর্তমানে তিনি জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত আছেন। আবুল কাসেম ঠিকানা পরিবর্তন করে এবং আটমূল কঞ্চিথল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নবির উদ্দিনকে নানা বানিয়ে আবুল কাসেমের মাতা সাহার বানুকে কন্যা বানিয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক ভুয়া ওয়ারিশান সনদ নিয়ে  মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অবৈধভাবে চাকরি করছেন।

আবুল কাসেমের নানা এবং তার ওয়ারিশান সূত্রে তার বংশে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই। তার আসল নানার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিনের সনদপত্র জালিয়াতি করে অবৈধভাবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন এবং সরকারের সুযোগ সুবিধা ও বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।

মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিনের ওয়ারিশান সূত্রে জানা যায়, তার এক স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। নবীর উদ্দিনের স্ত্রী মোছা.আছিমন বিবি, মেয়ে মোছা. আনেছা বিবি এবং ছেলে মো. আনিছুর রহমান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিন আকন্দকে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়ায় যায়নি।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন মুঠোফোনে আমার সংবাদকে বলেন, নবীর উদ্দিন আকন্দের নামে যে ওয়ারিশান সনদে যে  স্বাক্ষরটি রয়েছে, সেটি আমার না। আমার স্বাক্ষর জাল করে সনদ নিয়েছে। আবুল কাসেম মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দিনের নাতি কিনা আমি জানি না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবুল কাসেম বলেন, এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না আপনি আমার স্যারের সাথে কথা বলেন।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. রাহেলা পারভীন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ