সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের গোনালী বিলপাড়া এলাকার হেরিং বোন বল্ড পদ্ধতিতে ৫০০ মিটার রাস্তার প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ের কাজে বালি ফিলিং এর নামে মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প কাজটি করছে সাতক্ষীরার মেসার্স নয়ন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর অভিযোগ রাতের আধারে বালুর পরিবর্তে কাদা মিশ্রিত মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করে উপরে সামান্য বালু ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসেম মোল্লা জানান, রাত ১১টার পরে আমাদের এই রাস্তায় বালি পরিবর্তে কাদা মিশ্রিত মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করা হয়। পরে উপরে সামান্য বালি ছিটিয়ে দেয়া হয়। এভাবে রাস্তা তৈরি করলে তা টিকবে না।
সখিনা বেগম জানান, ‘আমরা মহিলা মানুষ। আমরা বললে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের কথা শুনেনা।’
রহমত মোল্লা জানান, ‘আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি সে এসে কাজের মান খারাপ দেখে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া যেই ইট আনা হয়েছে তা নিম্ন মানের ইট। রাস্তার কাজে যদি এই নিম্ন মানের ইট পাতানো হয়, তাহলে রাস্তাটি বেশিদিন টিকবে না, আবার আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে ।’
খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রনব ঘোষ বাবলু জানান, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে মাটি মিশ্রিত মাটির তৈরি ফিলিং ও ইটের মান খারাপ দেখে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যাতে নতুন করে বালি ফেলে ও ভালো মানের ইট দিয়ে রাস্তাটি তৈরি করতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে মেসার্স নয়ন এন্টারপ্রাইজ’র স্বত্বাধিকারী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি বেশি, বালি কম থাকায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আবার বালি দিয়ে রাস্তা ফিলিং করে কাজ করা হবে।’
তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ায়দুল হক বলেন, ‘রাস্তার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না, সঠিকভাবে বালি ফিলিং করে ও ভালো মানের ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হবে। কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।’
এআরএস